আযানের দোয়া ও আযানের জবাব

আযানের জবাব ও আযানের দোয়া: প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত সালাতে মুয়াজ্জিন আজানের মাধ্যমে আমাদের সালাতের জন্য আহ্বান করেন।

ইসলামের অতি গুরুত্বপূর্ণ এই আযানকে ঘিরে অনেক বেশি সওয়াবের আমল রয়েছে। কিয়ামতের দিন শুধুমাত্র আযান দেওয়ার ফলে মহান আল্লাহ তায়ালা মুয়াজ্জিনের সম্মান বাড়িয়ে দিবেন। মোয়াজ্জিন ছাড়া অন্যদের জন্য আযানের দোয়া ও আযানের জবাব অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

আযানের সময় কথা বলা নিষিদ্ধ। তাই এসময় মুয়াজ্জিনের সাথে আযানের জবাব ও আযানের দোয়া পাঠে আত্মনিয়োগ করা উচিত। এই পোস্টে আযানের জবাব, আযানের দোয়া আরবি, উচ্চারণ ও বাংলা অর্থসহ তুলে ধরা হলো।

আযানের জবাব আরবি উচ্চারণ ও বাংলা অর্থসহ

আজানের সাথে সাথে জবাব দেওয়া অনেক বেশি সওয়াবের আমল। এ সম্পর্কে মহানবী (সাঃ) বলেছেন- যে ব্যক্তি দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে মুয়াজ্জিন যা বলে তাই বলবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (সুনানে আন-নাসাঈ)।

নিম্নোক্তভাবে আযানের সাথে জবাব দিতে হয়-

আযান

নিম্নোক্তভাবে আযানের সাথে জবাব দিতে হয়-

আযান আজানের জবাব
আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার

(আল্লাহ সবচেয়ে বড়)

আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার

(আল্লাহ সবচেয়ে বড়)

আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার

(আল্লাহ সবচেয়ে বড়)

আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার

(আল্লাহ সবচেয়ে বড়)

আশ-হাদু আল্-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ

(আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ তায়ালা ছাড়া কোন মাবুদ নেই)

আশ-হাদু আল্-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ

(আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ তায়ালা ছাড়া কোন মাবুদ নেই)

আশ-হাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসুলুল্লাহ

(আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) – আল্লাহ তাআলার রাসূল)

আশ-হাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসুলুল্লাহ

(আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) – আল্লাহ তাআলার রাসূল)

হাইয়্যা আলাস্-সলাহ

(সালাতের জন্য এসো)

লা হাওলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ

(আল্লাহর অনুগ্রহ ব্যতীত পাপ কার্য থেকে ফেরা এবং নেক কার্য করার কারো সাধ্য নেই)

হাইয়্যা আলাল-ফালাহ

(কল্যাণের জন্য এসো)

লা হাওলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ

(আল্লাহর অনুগ্রহ ব্যতীত পাপ কার্য থেকে ফেরা এবং নেক কার্য করার কারো সাধ্য নেই)

আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার

(আল্লাহ সবচেয়ে বড়)

আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার

(আল্লাহ সবচেয়ে বড়)

লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ

(আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই)

লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ

(আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই)

“রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- তোমাদের মধ্যে যদি কোন ব্যক্তি এইভাবে মুয়াজ্জিনের আযানের সময় জবাবে বলে তাহলে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।” (আবু দাউদ, মুসলিম)

ফজরের আযানের জবাব

ফজরের আযানে অন্যান্য ওয়াক্তের আযানের চেয়ে একটি বাক্য বেশি বলতে হয়। সেটি হলো- ‘আসসালাতু খাইরুম মিনা-ন্নাউম’। মুয়াজ্জিনের এই বাকের জবাবে শ্রোতাগণ বলবেন- ‘সাদ্দাকা ওয়া বারারতা’। অর্থ- “সত্য এবং ভালোই বলেছো”।

আযানের দোয়া 

ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺭَﺏَّ ﻫَﺬِﻩِ ﺍﻟﺪَّﻋْﻮَﺓِ ﺍﻟﺘَّﺎﻣَّﺔِ، ﻭَﺍﻟﺼَّﻼَﺓِ ﺍﻟْﻘَﺎﺋِﻤَﺔِ، ﺁﺕِ ﻣُﺤَﻤَّﺪﺍً ﺍﻟْﻮَﺳِﻴﻠَﺔَ
ﻭَﺍﻟْﻔَﻀِﻴﻠَﺔَ، ﻭَﺍﺑْﻌَﺜْﻪُ ﻣَﻘَﺎﻣَﺎً ﻣَﺤﻤُﻮﺩﺍً ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻭَﻋَﺪْﺗَﻪُ، ﺇِﻧَّﻚَ ﻟَﺎ ﺗُﺨْﻠِﻒُ ﺍﻟْﻤِﻴﻌَﺎﺩَ

আযানের দোয়া বাংলা উচ্চারণ

“আল্লা-হুম্মা রব্বা হা-যিহিদ্ দা‘ওয়াতিত্ তা-ম্মাতি, ওয়াস সালা-তিল ক্বা-ইমাতি, আ’তি মুহাম্মা-দানিল ওয়াসী লাতা ওয়াল ফাদীলাতা, ওয়াব আছ’হু মাক্বা-মাম মাহমূদা-নিল্লাযী ওয়া‘আদতাহ, ইন্নাকা লা তুখ-লিফুল মী‘আদ।”

আরও পড়ুন: কবর জিয়ারতের দোয়া ও নিয়ম 

বাংলা অর্থসহ আযানের দোয়া

“হে আল্লাহ, এই পরিপূর্ণ আহ্বান এবং প্রতিষ্ঠিত সালাতের রব্ব! মুহাম্মাদ (সাঃ) কে ওসীলা তথা জান্নাতের একটি স্তর এবং ফযীলত ও সকল সৃষ্টির উপর অতিরিক্ত মর্যাদা দান করুন। আর তাঁকে মাকামে মাহমূদে (প্রশংসিত স্থানে) অধিষ্ঠিত করুন, যার প্রতিশ্রুতি আপনি তাঁকে দিয়েছেন। নিশ্চয় আপনি প্রতিশ্রুতির ব্যতিক্রম করেন না।”

আযানের দোয়া পিডিএফ ডাউনলোড করুন

আযানের দোয়া PDF

শেষকথা

প্রতিদিন পাঁচবার ফরজ সালাতের জন্য আযান দেয়া হয়। মুসলমান হিসেবে আযানের সাথে সাথে বাড়তি আমল করার সুযোগ হাতছাড়া করা উচিত নয়। তাই সঠিকভাবে আযানের জবাব দেওয়া ও আমান শেষে আযানের দোয়া পড়তে হবে।