বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা – ঢাকা, মিরপুর- ভ্রমন টিপস্

বাংলাদেশের রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র রমনা থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে মিরপুরে বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা বা ঢাকা চিড়িয়াখানা অবস্থিত। চিড়িয়াখানাটি প্রতিষ্ঠা করার উদ্দেশ্য ছিল প্রাণী বৈচিত্র সংরক্ষণ, প্রজনন, গবেষণা, জনসাধারণের বিনোদন ও বন্যপ্রাণী সম্পর্কিত জ্ঞান বৃদ্ধি করার জন্য। ১৯৫০ সালে অল্প সংখ্যক বন্যপ্রাণী নিয়ে ঢাকা হাইকোর্ট প্রাঙ্গনে চিড়িয়াখানাটির যাত্রা শুরু হয়। পরবর্তীতে চিড়িয়াখানাটি ১৯৬০ সালে মিরপুরে স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়। ১৯৭৩ সালের ২৩ শে জুন বাংলাদেশের জাতীয় চিড়িয়াখানাটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। চিড়িয়াখানা টি বাংলাদেশ সরকারের মৎস্য ও পশু সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ একটি প্রতিষ্ঠান।

সুবিশাল ও সুনিবিড় ছায়াঘেরা বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা এর আয়তন প্রায় ৭৫ হেক্টর। এই চিড়িয়াখানাটির মধ্যে ১৩ হেক্টরের দুটি লেক রয়েছে। চিড়িয়াখানার তথ্য কেন্দ্র হতে প্রাপ্ত তথ্য হতে জানা যায়, বর্তমানে বাংলাদেশের জাতীয় চিড়িয়াখানায় ১৯১ টি প্রজাতির ২১৫০ টি প্রানী রয়েছে। তবে ঢাকা চিড়িয়াখানার ১৩৮টি প্রজাতির ২৬২২ টি প্রাণী ও পাখি রয়েছে।

রয়েল বেঙ্গল টাইগার হচ্ছে জাতীয় চিড়িয়াখানার মূল আকর্ষণ। এই চিড়িয়াখানায় রয়েছে কয়েকশো প্রজাতির পাখি ও বিভিন্ন রকম দেশি-বিদেশি প্রজাতির জীব জানোয়ার রয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা – তে বিভিন্ন রকম পাখির মধ্যে রয়েছে শঙ্খচিল, ফ্লেমিংগো, রঙিন ফিজ্যান্ট, বিলুপ্তপ্রায় কুড়া ও কাল শকুন রয়েছে। চিড়িয়াখানাটির মধ্যে রয়েছে লেক এবং লেকের উপরে রয়েছে বিশাল আকার পেলিক্যান পাখি। প্রাকৃতিক পরিবেশের মধ্যে তার পাশেই রয়েছে রয়েল বেঙ্গল টাইগার ও সিংহ।

ঘোড়া আকৃতির ওয়াটার বাক্, জেব্রা সহ আরো কিছু প্রাণী রয়েছে চিড়িয়াখানাটির উত্তর দক্ষিণের লম্বাটে এলাকা জুড়ে। প্রাণি জাদুঘরে রয়েছে ২৪০ টি প্রজাতির স্টাফিং করা জীবজন্তু ও পাখি। এই চিড়িয়াখানায় রয়েছে বাংলাদেশ থেকে বিলুপ্ত নীলগাই। চিড়িয়াখানার দক্ষিণে রয়েছে দক্ষিণ লেক এবং তার মাঝে রয়েছে বাবলা দ্বীপ।

দ্বীপের পাশেই রয়েছে কেনিয়ার শিংওয়ালা গন্ডার যে তার সঙ্গী হারিয়ে নিঃসঙ্গ জীবন কাটাচ্ছে। শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত সকলের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হলো শিম্পাঞ্জি। গন্ডারের ঠিক পাশেই শিম্পাঞ্জির দেখা মিলবে। শিম্পাঞ্জির সময় কাটে সঙ্গীর মাথার উকুন বেছে, শক্ত গ্রিল ধরে লাফালাফি করে ও বারবার খাবার খেয়ে ।

বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা এর প্রবেশের পথেই রয়েছে বানরের খাঁচা। এই খাঁচার মধ্যে ছোট বড় অসংখ্য বানরের বাদরামি চলে সারাক্ষণ। বানরের খাঁচা থেকে একটু সামনে গেলেই বাম পাশে রয়েছে বিশাল আকার এভিয়ারি। এখানেই রয়েছে বাঁকানো ঠোঁট ও লম্বা পায়ের ফ্লেমিংগো। এখানে রয়েছে আরও বিভিন্ন রকমের পাখি যেমন- কানিবক, মাছরাঙ্গা, পানকৌরি ইত্যাদি। তারপরেই রয়েছে ভারতীয় সিংহ।

সিংহের খাঁচা পেরুলেই রয়েছে রয়েল বেঙ্গল টাইগার ও ভাল্লুকের খাঁচা এবং রয়েছে দ্রুতগতি সম্পন্ন চিতার খাঁচা। চিড়িয়াখানাটির উত্তরপাশে রয়েছে উত্তর লেক। লেকের পাশেই প্রাকৃতিক পরিবেশের মধ্যে রয়েছে সুন্দরবনের বাঘ ও সিংহ। এই চিড়িয়াখানায় জল হস্তিও রয়েছে কৃত্রিম জলাশয়ের মধ্যে। তার পাশেই রয়েছে লোনাপানির কুমির।

বাংলাদেশের জাতীয় চিড়িয়াখানার প্রাকৃতিক পরিবেশে রয়েছে চিতালো হরিণ। বের হওয়ার পথে হরিণ দেখা যাবে। এখানে রয়েছে হাঁস জাতীয় বিভিন্ন ধরনের পাখি- কেশোয়ারী, লাভ বার্ড, উটপাখি, মুনিয়া ইত্যাদি পাখি রয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা তে রয়েছে হাতি, ঘোড়, চিত্রা হরিণ, অজগর ও বিভিন্ন প্রজাতির সাপ।

জাতীয় চিড়িয়াখানার ইতিহাস

বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা যাত্রা শুরু করে ভিন্ন ভাবে।
বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা

বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা যাত্রা শুরু করে ভিন্ন ভাবে। ১৯ শতাব্দির শেষের দিকে ঢাকার শাহবাগে নবাবরা ব্যক্তিগত একটি চিড়িয়াখানা তৈরি করে। ১৯৪৭ সালে বাংলাদেশে একটি চিড়িয়াখানার অভাব অনুভূত হয়। পঞ্চাশের দশকের শেষাংশে ঢাকা সুপ্রিম কোর্টের সামনে বর্তমান ঈদগা এলাকায় ৪-৫ একরের জায়গার মধ্যে একটি ছোট আকারে চিড়িয়াখানার প্রতিষ্ঠা করা হয়। চিড়িয়াখানাটির মধ্যে একটি বড় পুকুর ছিল এবং পুকুরের পাড়ে একটি বিশাল আকারের বলাকা প্রদর্শনী ছিল। সেখানে ছিল পাতিহাঁস, রাজহাঁস শীতকালীন বিভিন্ন ধরনের হাঁস ও বিভিন্ন রকমের পাখি। ময়ূর, হারগিলা ও সারশ প্রদর্শিত হত। সরিসৃপের মধ্যে প্রধান ছিলো কুমির ও অজগর। সেখানে ছিলো হরিণ, বানর ও হনুমান।

১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে সরকারি ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ঢাকায় একটি আধুনিক চিড়িয়াখানার স্থাপনের। তৎকালীন কৃষি, সহযোগিতা ত্রাণ বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ঢাকার উপকণ্ঠে চিড়িয়াখানা ও উদ্ভিদ উদ্যান স্থাপনের ঘোষণা দেওয়া হয়।এবং সে বছরেই প্রস্তাবনটি ২৬ শে ডিসেম্বর চূড়ান্তভাবে ঘোষিত হয়। তারপর চিড়িয়াখানাটির স্থাপনের কোন প্রকার উদ্যেগ ছাড়াই এক দশক পার হয়ে যায়। ১৯৬১ সালের ১১ই মার্চ খাদ্য ও কৃষি বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনের বরাতে এক উপদেষ্টা পরিষদের নাম ঘোষণা করা হয়। এই পরিষদের কাজ ছিল প্রস্তাবিত চিড়িয়াখানা ও উদ্ভিদ উদ্যান স্থাপন ও ব্যবস্থাপনার ব্যাপারে সরকারকে পরামর্শ দান। তদানীন্তন পশুপালন সার্ভিস এর পরিচালক এই পরিষদের সদস্য সচিব হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। এভাবেই পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা সৃষ্টি ও প্রতিষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা তে কিভাবে যাবেন

রাজধানী ঢাকার যে কোন প্রান্ত থেকে লোকাল বাসে বা সিএনজি করে বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানায় যাওয়া যাবে। অথবা নিজস্ব পরিবহন প্রাইভেটকার, ট্যাক্সি ও সিএনজি এগুলোতে করেও যাওয়া যাবে। অনেক সময় ডিরেক্ট বাস না পাওয়া গেলে মিরপুর ১ এর যেকোনো বাসে উঠে সেখান থেকে সনি সিনেমা হলের কাছ থেকে রিক্সা নিয়েও যেতে পারবেন।

ট্রেনের সময়সূচী দেখুন: আজকের ট্রেনের সময়সূচী

জাতীয় চিড়িয়াখানায় প্রবেশ টিকেট মূল্য

★ চিড়িয়াখানার মেইন গেটের প্রবেশ ফি ৫০ টাকা।
★ স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রবেশ ফি অর্ধেক দেয়া যায় তবে সেখানে স্কুল ও কলেজের আইডি কার্ড দেখাতে হবে।
★ এই চিড়িয়াখানায় জো মিউজিয়ামে প্রবেশ মূল্য ১০ টাকা।
★ ০ থেকে ২ বছরের বাচ্চাদের প্রবেশের ক্ষেত্রে টিকেট সংগ্রহ করতে হয় না।
★ প্রবেশপথে মোট ৪টি কাউন্টার রয়েছে।
★ চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ বরাবর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আবেদন করলে ৫০% থেকে ১০০% পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হয়।
★ এতিম শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য ১০০% পর্যন্ত ছাড় দেয়া হয়।
★ প্রাণী জাদুঘরের প্রতিজনের প্রবেশ ফি ২ টাকা, ঘোড়া প্রমোদ আরোহন ৩ টাকা ও হাতি প্রমোদ আরোহন ৫ টাকা।

চিড়িয়াখানা খোলা ও বন্ধের সময়সূচী

বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা টি প্রতি রবিবারের সাপ্তাহিক বন্ধ থাকে। তবে রবিবার দিন যদি সরকারি ছুটির দিন থাকে তাহলে সে রবিবারে খোলা থাকে।

গ্রীষ্মকালীন – ১লা এপ্রিল থেকে ৩০শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সকাল ৯ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
শীতকালীন – ১লা অক্টোবর থেকে ৩১ শে মার্চ পর্যন্ত সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত খোলা থাকে।

চিড়িয়াখানায় পিকনিক স্পট

এই চিড়িয়াখানায় নিঝুম ও উৎসব নামে দুইটি পিকনিক স্পট রয়েছে। উৎসব এর ভাড়া ১০০০০ টাকা ও নিঝুম এর ভাড়া ৬০০০ টাকা।

জাতীয় চিড়িয়াখানায় কার পার্কিং

বাইক ও সিএনজির জন্য ১০ টাকা। মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কার এগুলোর জন্য ২০ টাকা। বাস, মিনিবাস ও ট্রাক ইত্যাদি পরিবহনের জন্য ৪০ টাকা।

খাওয়ার ব্যবস্থা

বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা এর গেটের আশে পাশে অনেক খাবারের দোকান রয়েছে। সেখানে খাবার খাওয়ার আগে অবশ্যই দাম জিজ্ঞেস করে নিতে হবে কেননা সেখানে সবকিছুর দামই স্বাভাবিকের থেকে বেশি। সেখানে যাওয়ার আগে খাবার অন্য কোথাও থেকে খেয়ে গেলে খরচ কিছুটা কমবে।

দর্শনার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা

  • এই চিড়িয়াখানাতে একটি কেন্দ্রীয় মসজিদ রয়েছে নামাজ পড়ার জন্য। আপনি চাইলে সেখানে নামাজের সময় গিয়ে নামাজ পড়তে পারেন।
  • চিড়িয়াখানাটিতে শিশুদের খেলাধুলা ও বিনোদনের জন্য একটি শিশু পার্ক ও রয়েছে।
  • পুরুষ ও মহিলাদের জন্য আলাদা আলাদা নামাজের ব্যবস্থা করা আছে।
  • এই চিড়িয়াখানাটিতে দর্শনার্থীদের জন্য নিঝুম ও উৎসব নামের দুটি পিকনিক স্পট রয়েছে।

চিড়িয়াখানার প্রধান আকর্ষণ

বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা টির প্রধান আকর্ষন হলো এখানে থাকা বৈচিত্র্যময় নানান প্রানী।
চিড়িয়াখানা

বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা টির প্রধান আকর্ষন হলো এখানে থাকা বৈচিত্র্যময় নানান প্রানী। বাংলাদেশের জাতীয় পশু রয়েল বেঙ্গল টাইগার ছাড়াও লোনা পানির কুমির, এশিয় কালো ভাল্লুক, এমু, এশিয় সিংহ, ইমপালা, টাপির ও অন্যান্য নানা প্রানীর জীববৈচিত্র্য দেখতেই দর্শনার্থীদের ভিড় হয় ঢাকায় থাকা বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা টিতে।

আরও পড়ুন: রমনা পার্ক – ঢাকা

বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের করণীয়

  • চিড়িয়াখানার কর্মচারীদের প্রতি সহযোগিতামূলক আচরণ করতে হয়।
  • সূর্যাস্তের পূর্বে চিড়িয়াখানা ত্যাগ করতে হবে।
  • প্রাণীদের প্রতি দয়াশীল হতে হয়।
  • নিজেদের সঙ্গে আসা বাচ্চাদের নজরে রাখতে হবে।
  • চিড়িয়াখানার প্রাণীদের খাঁচায় বা ঘরে হাত বা কাপড় দেয়া যাবে না।
  • চিড়িয়াখানার প্রাণীদের খাবার দিতে হয় না।
  • বাচ্চাদের নিয়ে নিরাপদ স্থানে থাকতে হবে।
  • চিড়িয়াখানার প্রাণীদের কাছ থেকে দূরে নিরাপদ স্থানে অবস্থান করতে হবে।

যোগাযোগের ঠিকানা

বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা
মিরপুর ১০, ঢাকা-১২১৬
ফোন: +88 02 58053030
ইমেইল: info@bnzoo.org
ওয়েবসাইট: www.bnzoo.or

Deputy Curator : +88 02 9002738
Curator Office (PA): +88 02 58053030
Fax: +088-02-8035035
Zoo Hospital: +88 02 9003252

বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা সম্পর্কে সচরাচর জিজ্ঞেসিত প্রশ্নোত্তর (FAQ’s)

বাংলাদেশের জাতীয় চিড়িয়াখানা কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?

১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে সরকারি ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ঢাকায় একটি আধুনিক চিড়িয়াখানার স্থাপনের। ১৯৬১ সালের ১১ই মার্চ খাদ্য ও কৃষি বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনের বরাতে এক উপদেষ্টা পরিষদের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা সৃষ্টি ও প্রতিষ্ঠিত হয়।

জাতীয় চিড়িয়াখানা কোথায় অবস্থিত?

বাংলাদেশের জাতীয় চিড়িয়াখানা ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত।

ঢাকা চিড়িয়াখানার বাৎসরিক দর্শনার্থীর সংখ্যা কত?

ঢাকা চিড়িয়াখানায় প্রতিবছর প্রায় ৩০ লক্ষ দর্শনার্থী আসেন।

জাতীয় চিড়িয়াখানার টিকেট মূল্য কত?

চিড়িয়াখানার প্রবেশ ফি ৫০ টাকা। তবে স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থীদের জন্য অর্ধেক মূল্য ও ০-২ বছরের শিশুদের জন্য টিকেট সংগ্রহ করতে হয়না।