কালোজিরা (Black Cumin) একটি বহুগুণ সমৃদ্ধ উপাদান। উপাদেয় খাদ্য হিসেবে বিশ্বব্যাপী কালোজিরার পরিচিতি রয়েছে। কালোজিরার উপকারিতা, পুষ্টি উপাদান, খাওয়ার নিয়ম, ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সমূহ সম্পর্কে জানতে পারবেন এই আলোচনায়।
আয়ুর্বেদীয়, কবিরাজী, ইউনানী ও লোকজ চিকিৎসায় ব্যবহারের জন্য অত্যন্ত উপযোগী কালোজিরা। একে ‘কালোহীরা’ নামেও অভিহিত করা হয়। দেশের বিভিন্ন স্থানে চাষাবাদের ক্ষেত্রে উচ্চ ফলন পাওয়ায় কৃষকরা একে কালোরত্নও বলে থাকে।
মানবদেহের জন্য কালো জিরার উপকারিতা অনেক বেশি। পাঁচ ফোড়নের বিশেষ মশলা হিসেবে, তেল হিসেবে কিংবা সাধারণ খাদ্য হিসেবেও এটি ব্যবহৃত হয়। নিচে কালোজিরা সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হলো এই আলোচনায়।
কালো জিরার পুষ্টি উপাদান ও পরিমাণ
কালিজিরার তেলে ১০০ টিরও বেশি উপযোগী উপাদান আছে। এর প্রধান উপাদান গুলোর মধ্যে রয়েছে ৩৮ % শর্করা, ২১ % আমিষ, ৩৫ % স্নেহ বা তেল ও চর্বিজাতীয় উপাদান। এছাড়াও বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ রয়েছে। প্রতি ১০০ গ্রাম কালোজিরায় থাকা বিভিন্ন উপাদানগুলোর তালিকা নিচে তুলে ধরা হলোঃ
- ভিটামিন বি১ – ১৫ মাইক্রোগ্রাম।
- প্রোটিন – ২০৮ মাইক্রোগ্রাম।
- ক্যালসিয়াম – ১.৮৫ মাইক্রোগ্রাম।
- আয়রন – ১০৫ মাইক্রোগ্রাম।
- ফসফরাস – ৫.২৬ মিলিগ্রাম।
- জিংক – ৬০ মাইক্রোগ্রাম।
- কপার – ১৮ মাইক্রোগ্রাম।
- নিয়াসিন – ৫৭ মাইক্রোগ্রাম।
- ফোলাসিন – ৬১০ আইউ।
- নাইজেলোন।
- থাইমোকিনোন।
- স্ফটিকল নাইজেলোন।
- অ্যামিনো অ্যাসিড।
- স্যাপোনিন।
- ক্রুড ফাইবার।
কালোজিরার তেলে থাকা বিভিন্ন উপাদান
চুলে এবং দেহে ব্যবহারের জন্য তেল হিসেবে কালোজিরার উপকারিতা অনেক বেশি। কালোজিরা তেলে যেসকল উপাদান গুলো রয়েছে সেগুলো হলোঃ
- ভিটামিন-এ,
- ভিটামিন-বি,
- ভিটামিন-বি২,
- ভিটামিন-সি
- কার্বোহাইড্রেট,
- ক্যালসিয়াম,
- পটাশিয়াম,
- আয়রন,
- ফসফেট,
- লৌহ,
- ফসফরাস,
- জিংক,
- ম্যাগনেশিয়াম,
- লিনোলিক এসিড,
- অলিক এসিড,
- সেলেনিয়াম,
- নিয়াসিন।
এছাড়াও শরীরকে ডি-টক্সিফাই করতে ও নানান জীবাণু থেকে রক্ষা করতে বিভিন্ন জীবাণুনাশকও রয়েছে এই কালোজিরাতে।
কালোজিরার উপকারিতা ও কালোজিরার ব্যবহার বিধি
মানবদেহের জন্য কালোজিরা যে মহৌষধ হিসেবে কাজ করে তা আমাদের সকলেরই জানা। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ছাড়াও কালোজিরা আমাদের দেহের জন্য কতটা উপকারী তা নিচে তুলে ধরা হলোঃ
(১) উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে খাবারে কালোজিরার ব্যবহার নিয়মিত করা উচিত। যেমন- চা, গরম ভাত, রুটি ইত্যাদি খাবারের সাথে কালোজিরা, কালোজিরার তেল, কালোজিরার ভর্তা খেতে পারেন। এটি সরাসরি আমাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখবে। তাছাড়া কালোজিরা, রসুন ও নিমের তেল মিশিয়ে, তা ২-৩ দিন পর পর মাথায় মালিশ করতে পারেন।
(২) ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে
কালোজিরা এবং কালোজিরা তেল উভয়ই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। কালোজিরা গুঁড়ো ও ডালিমের খোসার গুঁড়ো ডায়াবেটিসের নিয়ন্ত্রণের জন্য সেবন করতে পারেন।
(৩) হৃদরোগ প্রতিরোধে
কালোজিরা অথবা কালোজিরা তেল চায়ের সাথে মিশিয়ে নিয়মিত পান করলে হৃদরোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এছাড়া এক চা চামচ কালোজিরার সাথে এক কাপ পরিমাণ দুধ মিশিয়ে নিয়মিত পান করলে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই আপনার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। জেনে নিন- চিয়া সিড এর উপকারিতা ও অপকারিতা
(৪) ওজন নিয়ন্ত্রণে ও পেটের মেদ কমাতে
যাদের দেখো খুব বেশি স্থূলকায়, তারা নিয়মিত কালোজিরা সাবানের মাধ্যমে আপনার দেখেন বাড়তি চর্বি দূর করতে পারেন। এক গ্লাস উষ্ণ পানি, এক চা চামচ মধু, লেবুর রস ও কিছুটা কালোজিরার গুঁড়ো নিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। নিয়মিত এটি পান করলে আপনার দেহে বাড়তি চর্বি দূর হবে এবং পেটের মেদ কমতে থাকবে।
(৫) অ্যাসিডিটি ও আমাশয় দূর করতে
এক গ্লাস দুধে এক টেবিল চামচ পরিমাণ কালোজিরা তেল মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। তারপর দৈনিক ৩ বার এক সপ্তাহ পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারেন। এতে আপনার পেটের গ্যাস্ট্রিকজনিত সমস্যা, বদহজম ইত্যাদি দূর হবে। তবে ফলাফল পাওয়ার পর আর ব্যবহার না করা উচিত।
(৬) স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতেও কালোজিরার উপকারিতা রয়েছে। এক চা চামচ মধুর সাথে অল্প পরিমাণ কালোজিরা নিয়ে নিয়মিত সেবন করুন। এতে দুশ্চিন্তা জনিত সমস্যা হ্রাস পাবে। এবং ধীরে ধীরে মস্তিষ্কের ধারণক্ষমতা কয়েক গুণ বৃদ্ধি পাবে।
(৭) যৌন দুর্বলতা দূর করতে
শরীরের শক্তি বৃদ্ধিতে এবং যৌন দুর্বলতা দূর করতে কালোজিরার বহুল ব্যবহার প্রচলিত রয়েছে। কালোজিরার গুঁড়ো, অলিভ অয়েল, ২০০ গ্রাম খাঁটি মধ্য এবং ৫০ গ্রাম হেলেঞ্চার রস একসাথে মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। তারপর নিয়মিত সকালে খাবারের পর এক চা চামচ করে সেবন করুন। এতে অতি দ্রুত আপনার শারীরিক ও যৌন দুর্বলতা দূর হবে।
(৮) রূপচর্চায় কালোজিরা
কালোজিরা আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া জনিত সমস্যা থেকে রক্ষা করতে পারে। অলিভ অয়েল ও কালোজিরা তেলের মিশ্রণ তৈরি করে চেহারার ত্বকে মাখুন। ১ ঘন্টা পর তা সাবান/ ফেসওয়াশ দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিন।
(৯) চুল পড়া রোধ করতে
কালোজিরার তেল চুল পড়া রোধ করতে অনেক বেশি কার্যকরী উপাদান। চুল পড়া রোধ করতে মাথায় কালোজিরার তেল ব্যবহার করার জন্য প্রথমেই লেবু দিয়ে সম্পূর্ণ মাথার চুলের গোড়াসহ পরিষ্কার করুন।
১৫ মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন এবং মাথার চুল গুলো পরিপূর্ণভাবে শুকিয়ে নিন। চুল শুকানোর পর সম্পূর্ণ মাথায় কালোজিরার তেল দিয়ে মালিশ করুন। এক সপ্তাহের মধ্যেই আপনার চুল পড়ার সমস্যা কমাতে কালোজিরার উপকারিতার প্রভাব দেখতে পাবেন।
(১০) জ্বর, সর্দি, কাশি ও হাঁপানিজনিত সমস্যা রোধে
যাদের হাঁপানিজনিত সমস্যা রয়েছে অথবা বুকে প্রচন্ড কফ জমে অনেক বেশি কাশি হয় বা বুকে ব্যথা হয়, তারা নিয়মিত বুকে ও পিঠে কালোজিরার তেল মালিশ করতে পারেন। যাদের হাঁপানি রয়েছে তারা ডাক্তারের নির্দেশিত অন্যান্য ঔষধের সাথে এটির ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও সকাল-সন্ধ্যায় লেবুর রসের সাথে ১ টেবিল চামচ পরিমাণ কালোজিরা তেল পান করলে জ্বর কমাতে সাহায্য করবে।
(১১) অ্যাজমার সমস্যা দূর করতে
অ্যাজমার সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে হালকা উষ্ণ পানিতে কালোজিরা মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। এটি নিয়মিত সেবন করলে ১ থেকে ১.৫ মাসের মধ্যেই অ্যাজমার সমস্যা উন্নতি ঘটে।
(১২) চোখের সমস্যা দূর করতে
যাদের দৃষ্টিশক্তি কম, চোখে ব্যথা হয়, ঝাপসা দেখতে পান, তাদের জন্য কালোজিরার বহুবিধ উপকারিতা রয়েছে অনেক। রাতে ঘুমানোর পূর্বে চোখের উভয় পাশে এবং ভ্রু-তে কালোজিরা তেল মালিশ করুন। ভিন্নভাবে এক কাপ গাজরের রসের সাথে ১ চামচ কালোজিরার তেলের মিশ্রণ করে ১ মাস পর্যন্ত সেবন করতে পারেন।
আরও পড়ুন: জীবন নিয়ে উক্তি। জীবন নিয়ে সেরা বানী
(১৩) নারীদের স্বাস্থ্যরক্ষায়
নারীদের স্বাস্থ্যরক্ষায় নানাভাবে কালোজিরার উপকারিতা রয়েছে। বিশেষ করে প্রসব ও ভ্রুণ সংরক্ষণে কালোজিরা, মৌরী ও মধু প্রতিদিন ৩-৪ বার খেলে অনেক উপকার পাবেন। নারীদের বুকের দুগ্ধ স্বল্পতা থাকলে তার উন্নয়নের জন্য নিয়মিত কালোজিরা খেতে পারেন। এটি অনিয়মিত মাসিকের সমস্যাও দূর করে।
(১৪) বাতের ব্যথা দূর করতে
হাত, পা, পিঠে ও অন্যান্য স্থানে বাতের ব্যথায় কালোজিরার তেল মালিশ করতে পারেন। নিয়মিত মধুসহ কালোজিরা তেল/কালোজিরা সেবন করলেও এ ধরনের সমস্যা থেকে পরিত্রান পাওয়া যায়।
(১৫) দাঁতের শিরশিরানি ও রক্তপাত বন্ধ করতে
দাঁতের শিরশিরানি ভাব অথবা ব্রাশ করার সময় কিংবা শক্ত খাবার খাওয়ার সময় দাঁতের মাড়িতে রক্তপাত হয় অনেকেরই। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে দই ও কালোজিরার মিশ্রণ প্রতিদিন ২ বার দাঁতে ব্যবহার করতে পারেন।
এছাড়াও প্রায় সকল প্রকার রোগের জন্যই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কালোজিরা নানান উপকারিতা বহন করে।
খালি পেটে কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা
খালি পেটে কালোজিরা খেলে শরীরের নানাবিধ উন্নয়নের পাশাপাশি আমাদের মাথায় অনেক উপকারী প্রভাব পড়ে। শরীরের সবচেয়ে বেশি স্পর্শকাতর স্থান আমাদের মাথা এবং মস্তিষ্ক। বিভিন্ন কারণে মাথায় ব্যথার অনুভূতি হতে পারে।
এক্ষেত্রে কপালের উভয় পাশে ও কানের পার্শ্ববর্তী স্থানে প্রতিদিন ৩/৪ বার কালোজিরা তেল দিয়ে মালিশ করুন। অন্যদিকে, টানা ৩ দিন খালি পেটে এক চা চামচ পরিমাণ কালোজিরার তেল পান করে উপকার পেতে পারেন। তাছাড়া স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতেও এর প্রভাব লক্ষণীয়।
কালো জিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা
কালোজিরা চিবিয়ে খেলে, কালোজিরা গুঁড়ো খেলে, কালোজিরা ভর্তা, খাবারে/ রান্নায় কালোজিরার ব্যবহার ইত্যাদি প্রত্যেকটি উপায়ে কালোজিরার উপকারিতা রয়েছে অনেক।
কালোজিরা চিবিয়ে খেলে- মাথা ব্যথা, বাতের ব্যথা, সর্দি-কাশি, জ্বর, হার্টের রোগ, শ্বাসকষ্ট, আমাশয়, অনিয়মিত মাসিক, চোখের সমস্যা, অ্যাজমা, যৌন দুর্বলতা, চুল পড়ার সমস্যা দূর হয়। এছাড়াও ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, মাতৃদুগ্ধ সল্পতা ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণে কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়া অনেক বেশি উপকারী।
হাদিসে বর্ণিত কালোজিরার বহুবিধ উপকারিতা
ইসলামিক মতামত অনুযায়ীও কালোজিরার বহুবিধ উপকারিতার কথা উল্লেখিত রয়েছে।
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, কালোজিরায় সকল প্রকার রোগের উপশম আছে, তবে ‘আস্সা-ম’ ব্যতীত। আর ‘আস্সা-ম’ হলো মৃত্যু। (মুসলিম, হাদিস- ৫৬৫৯)
তাই জীবিত অবস্থায় যেকোনো রোগ নিরাময়ে, রোগ থেকে নিরাপদ থাকতে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কালোজিরা সেবন করতে পারেন।
কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম
কালোজিরা বিভিন্নভাবে খাওয়া যেতে পারে। যেমন-
- রান্নায় মসলা হিসেবে ব্যবহার করে।
- কালোজিরার তেল।
- কালোজিরার তেল মধুর সাথে মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে।
- চাপ নিয়ে বা আচার তৈরিতে মসলা হিসেবে।
- মিষ্টি, কেক ও বিস্কুট জাতীয় খাবারে কালোজিরা ব্যবহার করতে পারেন।
- রুটি বানানোর সময় কাঁচা রুটির উপর কালোজিরার দানা ছড়িয়ে দিতে পারেন।
এছাড়াও উপরোক্ত কালোজিরার উপকারিতা গুলো পেতে বিশেষ বিশেষ ভাবে কালোজিরা সেবন করতে পারেন।
কালো জিরার অপকারিতা/ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
সাধারণত কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতাই বেশি। তবে অতিরিক্ত কালোজিরা সেবন করলে কিংবা দীর্ঘদিন যাবত নিয়মিত কালোজিরা সেবন করলেও শরীরে নানান পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। কালোজিরা সেবনের ক্ষতিকর দিকগুলো হলোঃ
কালোজিরা অতিরিক্ত সেবন করলে শরীরের রক্ত জমাট বাঁধতে বাধার সৃষ্টি হয়। ফলে রক্ত পাতলা হয়ে রক্তপাত হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
অধিক পরিমাণে কালোজিরা খেলে শরীরের শর্করার পরিমাণ কমে যায়। ফলে যাদের শরীরের ডায়াবেটিস রয়েছে এবং উত্থান পতন বেশি হয়, তারা ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।
কালোজিরা তেল অধিক পরিমাণে ত্বকের ব্যবহার করলে এলার্জিজনিত সমস্যা হতে পারে।
সাধারণত যারা ৩ মাসের অধিক সময় পর্যন্ত নিয়মিত কালোজিরা সেবন করে তাদের শরীরে এ সকল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তাই সঠিক নিয়মে স্বল্প সময় সেবন করে কালোজিরার উপকারিতা পেতে পারেন।
কালোজিরা কোথায় চাষ হয়?
বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কালোজিরার অনেক বেশি চাষ হয়। কালোজিরার গাছ একটি মাঝারি আকৃতির মৌসুমী গাছ। এটিতে বছরে একবার ফুল ও ফল হয়। সেই ফল থেকেই ২৫-৩০ টি কালোজিরার বীজ পাওয়া যায়।
বিশেষ করে মাদারীপুর, পাবনা, নড়াইল, সিরাজগঞ্জ ও যশোরে এটি অধিক পরিমাণে চাষ হয়। সেই এলাকার কৃষকরা স্বল্প খরচের অধিক মুনাফা অর্জনের জন্য ধানের পরিবর্তে কালোজিরার চাষ করতে বেশি আগ্রহী।
শেষকথা
মানবদেহের প্রায় সকল প্রকার রোগ প্রতিরোধের জন্য কালোজিরার উপকারিতা রয়েছে। বিশেষ কোন রোগব্যাধি থেকে মুক্তি পেতে পরিমাণ মতো এবং নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কালোজিরা সেবন করুন। তবে দীর্ঘদিন সেবন করা থেকে বিরত থাকুন। রোগের প্রতিকার ছাড়া সুস্থ অবস্থায়ও কালোজিরা সেবনের মাধ্যমে উপকার পেতে পারেন।