লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান – ভ্রমন টিপস্

বাংলাদেশের যে ৭টি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য ও ১০ টি জাতীয় উদ্যান রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম মৌলভীবাজার জেলার লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান। জাতীয় উদ্যান ১টি সংরক্ষিত বনাঞ্চল এবং অবশিষ্ট চিরহরিৎ বনের একটি উল্লেখযোগ্য নমুনা। মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত ১২৫০ হেক্টর আয়তনের বন জীববৈচিত্র্যে ভরপুর এই উদ্যানটি শ্রীমঙ্গল উপজেলা থেকে মাত্র ১০ কি.মি দূরে অবস্থিত। দেশের বিলুপ্তপ্রায় উল্লুকের জন্য এ বন বিখ্যাত। উল্লূক ছাড়াও উদ্যানে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির দুর্লভ জীবজন্তু, কীটপতঙ্গ এবং উদ্ভিদ। লাউয়াছড়ার জাতীয় উদ্যান বাংলাদেশের সমৃদ্ধতম বনগুলোর একটি।

নিরক্ষীয় অঞ্চলের চিরহরিৎ বর্ষাবন বা রেইন ফরেষ্টের মতো লাউয়াছড়া উদ্যানে প্রচুর পরিমানে বৃষ্টি হয়। এই বন এতই ঘন যে মাটিতে সূর্যের আলো খুবই কম পড়ে। সূর্যের আলোর পাবার জন্য প্রতিযোগিতা করে এ উদ্যানের গাছপালা খুব উঁচু হয়ে থাকে, এবং অনেক ওপরে ডালপালা ছড়িয়ে চাঁদোয়ার মত সৃষ্টি করেছে। যা দেখলে খুবই আশ্চর্য লাগে। বিভিন্নপ্রকার গাছগাছালি, পশুপাখি এ বনের সৌন্দর্য আরো বৃদ্ধি করে। লাউয়াছাড়া জাতীয় উদ্যান মৌলভীবাজার জেলার অন্যতম দর্শনীয় স্থান।

জীববৈচিত্র এই উদ্যানের প্রধান আকর্ষণ
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান

লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে কি কি দেখবেন

জীববৈচিত্র এই উদ্যানের প্রধান আকর্ষণ। এ বন দুর্লভ উদ্ভিদ এবং প্রাণীর এক জীবন্ত সংগ্রহ শালা। উদ্যানে প্রবেশের সাথে সাথেই বিচিত্র রকমের প্রাণী নানা ধরনের পাখি এবং কীট পতঙ্গের শব্দে আপনি অন্যন্য এক ভাললাগা অনুভব করবেন। এক ধরনের ঝিঁঝিঁ পোকা বনের মধ্যে প্রায় সারাক্ষণই সাইরেনের মত শব্দ করতে থাকে। লাউয়াছড়ার জাতীয় উদ্যানে ৪৬০ প্রজাতির দুর্লভ উদ্ভিদ ও প্রাণী রয়েছে। এর মধ্যে ১৬৭ প্রজাতির উদ্ভিদ, ৬ প্রজাতির সরীসৃপ, ২৪৬ প্রজাতির পাখি, ৪ প্রজাতির উভচর এবং ২০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী রয়েছে।

এ বনে স্তন্যপায়ী প্রাণী আছে নানা প্রজাতির। দেশের বিলুপ্তপ্রায় উল্লুকের জন্য এ বন বিখ্যাত। বনের মধ্যে কিছুক্ষণ সময় কাটালেই উল্লুকের ডাকাডাকি আপনার কানে আসবে। এ বন উল্লুকের সবচেয়ে বড় বিচরন এলাকা। উল্লুক ছাড়াও এ বনে রয়েছে হনুমান, লজ্জাবতী বানর, মুখপোড়া হনুমান, বানর, শিয়াল, মেছোবাঘ, রামকুত্তা, এশীয় কালো ভাল্লুক, মায়া হরিণ, সজারু, বনমোরগ, বাগডাশ, অজগর, বনরুই, গন্ধগোকুল, চিতা বিড়াল, কাঠবিড়ালী সহ নানা প্রজাতির জীবজন্তু। এ বনে সরীসৃপ আছে নানা প্রজাতির। তার ভেতর অজগর হচ্ছে অনন্য। এখানে পাওয়া যায় হলুদ পাহাড়ি কচ্ছপ।

এছাড়াও উদ্যানের বন্য পাখির মধ্যে সবুজ ঘুঘু, তুর্কি বাজ, বনমোরগ, সাদা ভ্রু সাতভায়লা, হরিয়াল, ঈগল, কালোমাথা টিয়া, ধূসর সাত শৈলী, প্যাঁচা, কালো ফিঙে, কালো-পিঠ চেরালেজি, বাসন্তী লটকনটিয়া, লালমাথা টিয়া, কালো বাজ, কালো-মাথা বুলবুল, ধুমকল প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। সাধারণ দর্শনীয় পাখির মধ্যে সবুজ টিয়া, তোতা, ছোট হরিয়াল, পান্না কোকিল, সবুজ বাঁশপাতি, পাঙ্গা, কেশরাজ প্রভৃতির দেখা মিলে।

লাউয়াছড়া উদ্যানের মাঝবরাবর ঢাকা-সিলেট রেলওয়ে লাইনটি চলে গেছে। যা উদ্যানের সৌন্দর্য আরোও বৃদ্ধি করেছে। আপনি কিছু সময় রেললাইনে হেঁটে বেড়ানে পারেন। বাস্তব অভিজ্ঞতা তখন অন্যরকম একটি ভালো লাগা কাজ করে।

কখন লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান ভ্রমনে যাবেন 
শীতকাল উদ্যান ভ্রমনের উপযুক্ত সময়, কারন বর্ষা মৌসুমে এই অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেশি হয়।
জাতীয় উদ্যানের চশমাপড়া হনুমান
চশমাপড়া হনুমান

লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান এক দিনের ভ্রমণ পরিকল্পনা

জাতীয় উদ্যান ও তার আশ-পাশের দর্শনীয় স্থান ভ্রমনের জন্য ১দিনের পরিকল্পনা করতে পারেন। লাউয়াছড়া ঘুরে দেখার জন্যে হয়ত ২-৩ ঘন্টা সময়ই যথেষ্ট। দিনের বাকি সময় চাইলে দর্শন করতে পারেন শ্রীমঙ্গলের সুন্দর সুন্দর চা বাগান, বধ্যভূমি, মাধবপুর লেক, বি.টি.আর.আই, সীতেশ বাবুর চিড়িয়াখানা, নীলকন্ঠ ৭ কালারের চা কেবিন, বাইক্কাবিল, লেমন গার্ডেন সহ সুন্দর সুন্দর রিসোর্টগুলো । আপনার সময় ও আর্থিক অবস্থা অনুযায়ী সাজিয়ে নিতে পারেন পূর্ব পরিকল্পনা।

লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান ভ্রমন শুরু করবেন যেভাবে

শ্রীমঙ্গল শহর বা আশপাশ থেকে আপনি সারাদিনের জন্য একটি সি.এন.জি রিজার্ভ নিতে পারেন। সিএনজি রিজার্ভ নিবে ১২০০-১৫০০ টাকার মতো তবে পূর্বে দরদাম করে নেওয়া ভালো।
দিনের শুরুতে চলে যান মাধবপুর লেক, সেখান ঘন্টা দেড়েক সময় ঘুরে দেখার পর দপুরের আগেই চলে যান লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে। তারপর দুপুরের খাওয়া-দাওয়া পর্ব শেষ করে চলে যান বাংলাদেশ বি.টি.আর.আই বা চা গবেষনা ইনস্টিটিউটে, ঘন্টা খানেক সময় লাগতে পারে সেখানে। সেখান থেকে বেরিয়ে আপনি চাইলে সিতেশ বাবুর চিড়িয়াখানা দেখতে যেতে পারেন, চিড়িয়াখানা দেখা হয়ে গেলে বিকেলে বাইক্কা বিল যেতে পারেন, তারপর চলে যান শ্রীমঙ্গলের বিখ্যাত ৭ রঙের চা বা নীলকন্ঠ চা কেবিনে। চা খাওয়া শেষ হলে পরিকল্পনা করুন আপনি শ্রীমঙ্গল থাকবেন কি না নিজ বাসায় চলে যাবেন। আপনি যদি শ্রীমঙ্গল থাকেন তাহলে আপনাকে একটি রিসোর্ট অথবা আবাসিক হোটেল রিজার্ভ করতে হবে।

উদ্যানে প্রবেশ মূ্ল্য ও গাড়ী পার্কিং

লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে সর্বসাধারণের জন্যে জনপ্রতি প্রবেশ মূল্য ৫০ টাকা আর বিদেশী পর্যটকদের ক্ষেত্রে প্রবেশ মূল্য ৫০০ টাকা। উদ্যানে প্রবেশ গেইটের পাশে গাড়ী পার্কিং এর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। গাড়ীর ধরন অনুযায়ী পাকিং বিল পরিশোধ করতে হবে।

লাউয়াছড়া উদ্যানের মাঝবরাবর ঢাকা-সিলেট রেলওয়ে
ঢাকা-সিলেট রেল লাইন

লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান কিভাবে যাবেন

লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে যাতায়োতের জন্য ঢাকাসহ সারাদেশের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই ভালো। আপনি আন্তনগর ট্রেন, বাস, কিংবা প্রাইভেট গাড়ী করে খুব সহজে অল্প সময়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে উদ্যান ভ্রমন করতে পারেন। ঢাকা কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে আন্তনগর ট্রেন সকাল ৬.২০ মিনিটে পারাবত এক্সপ্রেস (মঙ্গলবার বন্ধ), প্রতিদিন দুপুর ১১.১৫ মিনিটে জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস, প্রতিদিন বিকাল ৩.০০ টায় কালনী এক্সপ্রেস প্রতিদিন রাত ৮.৩০ মিনিটে উপবন এক্সপ্রেস যাওয়া আসা করে। শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশনে সবগুলো ট্রেন থামানো হয়। আসন ভেদে ভাড়া ২৪০ টাকা থেকে ৮২৮ টাকা পর্যন্ত । ঢাকা থেকে শ্রীমঙ্গল আসতে ৫-৬ ঘন্টার মতো সময় লাগতে পারে।

তাছাড়া ঢাকা ফকিরাপুল ও সায়দাবাদ থেকে, হানিফ এন্টারপ্রাইজ, শ্যামলী পরিবহন, এনা ট্রান্সপোর্ট, সিলেট এক্সপ্রেস, মামুন সহ ভালো মানের এসি নন এসি বাস চলাচল করে। আপনি চাইলে বাসে করে আসতে পারেন।

চট্রগ্রাম থেকেও ট্রেনে জাতীয় উদ্যানে আসা যায়। সকাল ৭.২০ মিনিটে পাহাড়িকা এক্সপ্রেস, রাত ৯.৪৫ মিনিটে উদয়ন এক্সপ্রেস চলাচল করে। আসন ভেদে ভাড়া ৩০০ টাকা থেকে ১০২৪ টাকা পর্যন্ত । চট্রগ্রাম থেকে শ্রীমঙ্গল আসতে ৭-৬ঘন্টার মতো সময় লাগতে পারে।

শ্রীমঙ্গল আসার পর সি এন জি, ট্যাক্সি, অটোরিক্সায় চড়ে পর্যটন এলাকাগুলোতে যাওয়া যায়। গাড়ীতে উটার আগে ভাড়া কনফার্ম করে নিন।

কোথায় থাকবেন

শ্রীমঙ্গল শহরে অনেকগুলো ছেটো বড় হোটেল ও রিসোর্ট রয়েছে। প্রাসাদসম রিসোর্ট যেমন আছে ঠিক তেমনই সুলভ বাজেটের কিছু ছোট ছোট রিসোর্টও আছে। রয়েছে অনেক ছোট বড় আবাসিক হোটেল। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য:

গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট এন্ড গলফ

সিলেট বিভাগ তথা বাংলাদেশের অন্যতম পাঁচ তারকা মানের রিসোর্ট গুলোর মধ্যে গ্র্যান্ড সুলতান একটি। এর ভিতর রয়েছে অত্যাধুনিক সব সুযোগ সুবিধা। শ্রীমঙ্গল দর্শনীয় স্থান, হোটেল ও রিসোর্ট ভ্রমন পিপাসুদের গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্ট এন্ড গলফ পছন্দের শীর্ষে। বিদেশী পর্যটকরা শ্রীমঙ্গল ভ্রমনে আসলে থাকার জন্য গ্র্যান্ড সুলতানকেই বেছে নেন। তবে গ্র্যান্ড সুলতানে থাকার ব্যয়টা একটু বেশিই। সর্বনিম্ন রুম ভাড়া কিং ডিলাক্স ২৪,০০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ রুম ভাড়া প্রেসিন্সিয়াল সুইট ৭৮,০০০ টাকা। তবে বিভিন্ন উপলক্ষ থাকলে রুম ভাড়ার উপর ডিসকাউন্ট থাকে।
যোগাযোগের ঠিকানা
ফোন: +৮৮০২৯৯৭৭৩৮৫০১-৩

নভেম ইকো রিসোর্টে

একেবারেই নিরিবিলি পরিবেশে ছোট্ট দুটো টিলার উপর গড়ে তোলা হয়েছে এই রিসোর্ট। প্রায় তিন একর জায়গা নিয়ে গড়ে ওঠা এই রিসোর্টের আছে সুইমিংপুলসহ অত্যাধুনিক প্রায় সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা। বর্তমানে শ্রীমঙ্গলের বিখ্যাত বিখ্যাত সব রিসোর্টগুলোর মধ্যে নভেম ইকো রিসোর্ট ভ্রমন পিপাসুদের নিকট অন্যতম। এই রিসোর্টের যে কোন একটি রুম ভাড়া নিতে হলে ৫৫০০ টাকা থেকে ২০৫০০ টাকা পর্যন্ত।

যোগাযোগের ঠিকানা:
মোবাইল: +৮৮০১৭০৯৮৮২০০১

লেমন গার্ডেন রিসোর্ট

হানিমুনের জন্য আদর্শ জায়গা লেমন গার্ডেন রিসোর্ট। দর্শনার্থীদের লেমন গার্ডেন রিসোর্টে প্রবেশ মূল্য ৩০০ টাকা। এবং রুম ভাড়া কাপল রুম ৩৬০০ আর ফ্যামিলি রুম নিতে গুনতে হবে ৭২০০ টাকা।

যোগাযোগের ঠিকানা:
মোবাইল নম্বর: +৮৮০১৭৯৬-২৬৩৩৩০,

দুসাই রিসোর্ট এন্ড স্পা

দুসাই রিসোর্ট এন্ড স্পা, এতে হোটেল ও ভিলা নামের ২ ধরনের রুম চালু আছে। ভিলায় এক রাত কাটাতে শ্রেনীভেদে নুন্যতম ১৬,২০০টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৬০,০০০ টাকা পর্যন্ত গুনতে হবে। আর হোটেল ক্যাটাগরির রুম এক রাতের জন্য বুকিং দিতে শ্রেনী ভেদে নূন্যতম ৯,৬০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১২,০০০ টাকা খরচ করতে হবে।

যোগাযোগের ঠিকানা:
মোবাইল নম্বর: ০১৬১৭-০০৫৫১১

টি হেভেন রিসোর্ট

শ্রীমঙ্গলের টি হেভেন রিসোর্টে টুইন শেয়ার, ফ্যামেলি ডিলাক্স, ছায়াবৃক্ষ, হামহাম আর ক্যামেলিয়া নামের এক্সিকিউটিভ রুম ছাড়াও কাপল ডিলাক্স রুম রয়েছে। এই রিসোর্টে রুম নিতে খরচ হবে ২০০০ থেকে ৫৫০০ টাকা।
যোগাযোগের ঠিকানা:
মোবাইল নম্বর : ০১৭০৮-০৩৩৫৪৪

শ্রীমঙ্গল টি রিসোর্ট

প্রাকৃতিক সৌন্দৰ্য্য মন্ডিত শ্রীমঙ্গল টি রিসোর্ট-এ ইকনমি রুমের নূন্যতম ভাড়ার পরিমাণ দুই হাজার টাকা এবং এসি বাংলোর সর্বোচ্চ ভাড়া আট হাজার টাকা।
যোগাযোগের ঠিকানা:
মোবাইল নম্বর : ০১৭১২-০৭১৫০২, ০৮৬২৬-৭১২০৭

নিসর্গ ইকো-রিসোর্ট

নিসর্গ রিসোর্ট “নীরব” ও “লিচুবাড়ী” নামে দুটি অংশে বিভক্ত। এই দুই অংশের বিভিন্ন ক্যাটাগরির রুম নিতে খরচ হবে ২৫০০ থেকে ৫০০০ টাকা।
যোগাযোগের ঠিকানা:
মোবাইল নম্বর: +৮৮০১৭৬৬৫৫৭৭৮০

শান্তি বাড়ি ইকো রিসোর্ট

শান্তি বাড়ি ইকো রিসোর্টে ২টি বাঁশের কটেজ এবং একটি দু’তলা কাঠের বাড়ি রয়েছে । কাঠের বাড়িতে প্রতি কক্ষের ভাড়া ৩০০০ এবং বাঁশের কটেজের রুম ভাড়া ২০০০ টাকা।
যোগাযোগের ঠিকানা:
মোবাইল নম্বর: ০১৭১৬-১৮৯২৮৮

গ্র্যান্ড সেলিম রিসোর্ট

শ্রীমঙ্গল রামনগরে গ্র্যান্ড সেলিম রিসোর্ট এন্ড ট্যুর রিসোর্ট-টি অবস্থিত। থাকার জন্য গ্র্যান্ড সেলিম রিসোর্টের রুম নিতে খরচ করতে হবে দুই হাজার থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত।
যোগাযোগের ঠিকানা:
মোবাইল নম্বর: ০১৭০৯-৮৮৩৩৩৩

শ্রীমঙ্গলের আবাসিক হোটেল সমূহ

হোটেল মহসিন প্লাজা

শ্রীমঙ্গল কলেজ রোডে অবস্থিত হোটেল মহসিন প্লাজায় রাত যাপন করতে আড়াই হাজার টাকা থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা।
মোবাইল নাম্বার: +৮৮০১৭১১-৩৯০০৩৯

হোটেল মেরিনা

শ্রীমঙ্গল অবস্থিত হোটেল মেরিনায় ১ রাত থাকতে আপনাকে ৫০০ থেকে ৪০০০ টাকা পর্যন্ত খরচ করতে হবে।
মোবাইল নাম্বার: +৮৮০১৭৮৭-৩৩৩৫৪৪

হোটেল আল-রহমান

হোটেল আল রহমানে ৮০০ থেকে ২০০০ টাকায় অনায়াসেই ১ রাত্রি যাপন করতে পারবেন।
মোবাইল নাম্বার: +৮৮০১৭১২-৩১৭৫১৫

টি টাউন রেস্ট হাউস

টি টাউন রেস্ট হাউসে ১ রাতের জন্য গুনতে হবে ১০০০ থেকে ২৫০০ টাকা।
মোবাইল নাম্বার: +৮৮০১৭১৮-৩১৬২০২

হোটেল ইউনাইটেড রেসিডেন্সিয়াল

ঢাকা সিলেট মহাসড়কের পাশে অবস্থিত হোটেল ইউনাইটেড রেসিডেন্সিয়ালে সেখানে ১ রাত কাটাতে ৫০০ থেকে ২০০০ টাকা প্রধান করতে হবে। মোবাইল নাম্বার: +৮৮০১৭২৩-০৩৩৬৯৫

কোথায় খাবেন 

লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান ভ্রমনে আসলে যদি রিসোর্টে না থাকেন তাহলে আপনার খাবারের প্রয়োজন হবে। এর জন্য শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত পানসী রেস্টুরেন্টের বেশ সুনাম রয়েছে এই রেস্টুরেন্টে আপনি অনেক কম দামে ভালো মানের খাবার পাবেন। তাছাড়া হোটেল কুটুম বাড়ী, হোটেল সাতকড়া, গ্র্যান্ড তাজ সহ ভালো মানের আরো হোটেল রয়েছে যেগুলোতে ভালো খাবার পাওয়া যায়।

যে সকল বিষয় মনে রাখবেন

  • উদ্যানে বানরের বিচরন বসচেয়ে বেশি, কখনও বানরকে উত্যাক্ত করা যাবে না। তা হলে আপনি বনরের আক্রমনের স্বীকার হতে পারেন।
  • বনে ময়লা আবর্জনা ফেলে বনের পরিবেশ নষ্ট করবেন না।
  • বনে হৈ চৈ করা থেকে বিরত থাকুন।
  • শিক্ষা সফরে ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে গেলে কর্তৃপক্ষের নিয়ম কানুন মেনে চলুন।
  • বর্ষকালে ভ্রমনের ক্ষেত্রে সাপ ও জোঁক থেকে সতর্ক থাকবেন।
  • রেললাইনে হাটার সময় ট্রেনের ব্যাপারে একটু সতর্ক থাকবেন।

FAQ’s

লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান কোন জেলায় অবস্থিত

উদ্যানটি মৌলভীবাজার জেলায় অবস্থিত।

লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান কী ধরনের বনভূমি?

ক্রান্তীয় চিরহরিৎ, আধা-চিরহরিৎ জাতীয় বনভূমি।