মসজিদ
মসজিদ (Mosque) মহান আল্লাহ তায়ালার ঘর এবং মুসলমানদের মিলনকেন্দ্র। মহান আল্লাহ তায়ালা এটিকে পৃথিবীর সর্বাপেক্ষা উত্তম স্থান বলেছেন। মুসলিমদের দৈনন্দিন জীবন বিধান ‘সালাত’ আদায়ের পবিত্র স্থান মসজিদ। মসজিদ সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য জানা প্রতিটি মুসলমানেরই নৈতিক দায়িত্ব। তাই মসজিদ সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো এই আলোচনায় তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।
সর্বশেষ, ২০২২ সালে ফ্যাক্টচেক রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধান মতে, বর্তমানে পৃথিবীতে মসজিদের সংখ্যা প্রায় ৩৬ লক্ষ। মুসলিম রাষ্ট্র আমাদের বাংলাদেশে মসজিদের সংখ্যা প্রায় ২ লক্ষ ৫০ হাজার ৪০০ টি। তবে দেশে এতগুলো মসজিদ থাকলেও আশানুরূপ নয় মুসলিমদের উপস্থিতি।
তাছাড়া অধিকাংশ লোকই মসজিদ কি, জামে মসজিদ কি, মসজিদ আবাদ, মসজিদের গুরুত্বপূর্ণ বিধানসমূহ, মসজিদ সম্পর্কিত দোয়া, মসজিদ নির্মাণ ও দানের ফজিলত এবং মসজিদ কমিটি গঠনের বিধান সম্পর্কে জানেনা। যা ইসলামিক উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করছে। তাই এসকল মসজিদ সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য ধারাবাহিকভাবে নিচের লেখা থেকে জেনে নিন।
মসজিদ কি ও কেন
মসজিদ শব্দটির উৎপত্তি আরবি “السجود” শব্দ থেকে। এর আভিধানিক অর্থ শ্রদ্ধাভরে মাথা অবনত করা বা সিজদাহ করা। শরীয়তের পরিভাষায়, যেসকল পবিত্র স্থাপনায় মুসলমান পুরুষরা আল্লাহর নৈকট লাভের জন্য ইবাদতরত অবস্থায় থাকে এবং একত্রিত হয়ে প্রাত্যহিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন, তাকে মসজিদ বলে বলা হয়।
সমাজ জীবনে ইসলামিক ভাবাদর্শের প্রতিফলন, সামাজিক মীলবন্ধনের জন্য মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন। যদিও সমগ্র পৃথিবীকেই মুসলমানদের জন্য মসজিদ বলা হয়েছে তবুও মুসলিমদের বসবাসকৃত স্থানের পাশেই মসজিদ গড়ে উঠছে প্রতিনিয়ত। এছাড়াও মসজিদ সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য রয়েছে অনেক। শান্তিপূর্ণভাবে পবিত্র স্থানে ইসলাম পালন করার জন্যই মসজিদ।
আরও পড়ুন: হযরত শাহ জালাল (র:) মাজার, সিলেট
পৃথিবীর প্রথম মসজিদ কোনটি
কুবা মসজিদ বা মসজিদে কিবলাতাইন হলো পৃথিবীর প্রথম মসজিদ। বর্তমানে এটি পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম মসজিদ। পৃথিবীতে প্রথম মসজিদ নির্মাণ শুরু হয় মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর মাধ্যমে। মহানবী (সাঃ) মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করার পর আরবের মদিনার দক্ষিণদিকে অবস্থিত কুবা এলাকায় আবু আইয়ুব আনসারী (রা)-এর বসতবাড়িতে অবস্থান করেন। এ সময় কুবা মসজিদ নির্মাণ করা হয়।
এই মর্যাদাসম্পন্ন মসজিদে নামাজরত অবস্থায় মহান আল্লাহ তায়ালার নির্দেশে পবিত্র বায়তুল মুকাদ্দাস থেকে কিবলা পরিবর্তন করে পবিত্র বায়তুল্লাহর (কাবা ঘর) দিকে কিবলামুখী হয়ে নামাজ আদায় শুরু হয়। বর্তমানে এই মসজিদটি প্রায় ১৩,৫০০ বর্গমিটার আয়তন সম্পন্ন এবং এখানে একসাথে ২০ হাজার মুসল্লী নামাজ আদায় করতে পারবে।
জামে মসজিদ কি এবং জামে মসজিদের প্রয়োজনীয়তা
জামে মসজিদ হলো একটি নির্দিষ্ট এলাকার প্রধান বা কেন্দ্রীয় মসজিদ, যেখানে শুক্রবার জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জামে মসজিদ সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য জানা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন ভাষায় একে জামে মসজিদ, জামেহ মসজিদ, জামিয়া মসজিদ, জামি মসজিদ বা জোমেহ মসজিদ বলা হয়।
প্রতিটি এলাকাতেই জামে মসজিদ থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আরব দেশে সাধারণত সকল মসজিদে জুমার সালাত আদায় করা হয়না। একটি এলাকার নির্দিষ্ট সবচেয়ে বড় কেন্দ্রীয় মসজিদে সকলে একত্রিত হয়ে সমবেতভাবে এই সালাত আদায় করা হয়। জামে মসজিদের মাধ্যমে ইসলামের ভ্রাতৃত্ববন্ধন মজবুত হয় এবং ইসলামিক প্রচার-প্রচারণা সহজ হয়।
মসজিদ আবাদ কি ও মসজিদ আবাদ কিভাবে করবো
ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ ফরজ বিধান সালাত আদায়ের জন্য মসজিদের সাথে সম্পর্ক গড়ে ওঠে, মসজিদ রক্ষণাবেক্ষণ, মসজিদের মাধ্যমে পরকালীন সাফল্য অর্জন করার প্রচেষ্টাই মসজিদ আবাদ। মজিদ আবার প্রধানত দুই প্রকার। যথা-
বাহ্যিক আবাদ
মসজিদ নির্মাণ করা ও মজিদের উন্নয়নমূলক কার্যক্রমই বাহ্যিক আবাদ।
প্রকৃত আবাদ
মসজিদে আল্লাহর সন্তুষ্টিমূলক কাজ করা, সালাত, জিকির ও মসজিদের অন্যান্য হক আদায় করাই প্রকৃত আবাদ।
বাহ্যিকভাবে ও প্রকৃতভাবে আবাদ করার জন্য মসজিদ সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য বহুল কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ও ফজিলতপূর্ণ উপায়গুলো হলো:-
- মসজিদ নির্মাণ করা বা মসজিদ নির্মাণে শরীক থাকা। মৃত্যুর পর মানুষের কবরেও মসজিদ নির্মাণের সওয়াব পৌঁছাতে থাকে।
- মসজিদে জামায়াতে সালাত আদায় করা। যে ব্যক্তি নিয়মিত জামায়াতে সালাত আদায় করবে হাশরের দিন মহান আল্লাহ তায়ালা থেকে আরশের ছায়া দান করবেন।
- মসজিদের সাথে হৃদয়ের সম্পর্ক স্থাপন করা। মসজিদের কাছাকাছি থাকতে প্রশান্তি অনুভব করা।
মসজিদ পরিষ্কার রাখা। - মসজিদকে সুগন্ধময় করে রাখা। মহানবী (সাঃ) মসজিদে আতর ও অন্যান্য সুগন্ধি ব্যবহার করতে বলেছেন।
- মসজিদে অতিমাত্রায় ডিজাইন না করা। মসজিদ হবে সাদামাটা ও সাধারণ ডিজাইন সমৃদ্ধ। শেষ জামানায় মসজিদ নিয়ে মানুষ গর্ব ও প্রতিযোগিতা করবে, কিন্তু খুব কম লোকই মসজিদ আবাদ করবে।
- মসজিদের নামাজের স্থানের সামনের দেয়ালে ঝাঁকঝমকপূর্ণ কিছু না রাখা। এতে নামাজের মনোযোগ নষ্ট হতে পারে।
এছাড়াও মসজিদের গুরুত্বপূর্ণ বিধানসমূহ মানা, মসজিদ সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য জানা, মহান আল্লাহ তায়ালার শুকরিয়া জ্ঞাপন করে জিকির করা, কোরআন তেলাওয়াত করা, মসজিদে নিয়মিত গমন করা ইত্যাদি গুণাবলীর মাধ্যমে মসজিদ আবাদ করে দুনিয়া ও আখিরাতের সফলতা অর্জন করতে পারবেন।
মসজিদের গুরুত্বপূর্ণ বিধানসমূহ
মসজিদ সম্পর্কে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিধি-বিধান রয়েছে, যা সঠিকভাবে পালন না করলে গুনাহগার হতে হবে। মসজিদের ঐ সকল গুরুত্বপূর্ণ বিধানসমূহ হলো:-
- কবরস্থানের উপর মসজিদ নির্মাণ করা যাবেনা। এক্ষেত্রে শিরক এর মত জঘন্য পাপ হতে পারে।
- মসজিদে কারুকার্য ছাড়া সুন্দর বিল্ডিং তৈরি করা। কারণ কারুকার্য করা বিদ’আত এবং নামাজের মনোযোগ নষ্ট করে। ইমাম বুখারী রাঃ মসজিদ নির্মাণের সময় লাল ও হলুদ রং ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন।
- মসজিদ পরিচ্ছন্ন রাখা, মসজিদ ঝাড়ু দেওয়া। মহান আল্লাহ তায়ালা – হযরত ইব্রাহিম (আঃ) এবং হযরত ইসমাইল (আঃ) কে মসজিদ ঝাড়ু দিতে আদেশ করেছিলেন।
- মসজিদে নম্রতা ও স্থীরতা বজায় রাখা। তাড়াহুড়ো করে বা দৌড়ে মসজিদে না যাওয়া।
- মসজিদে ডান পা দিয়ে প্রবেশ করা এবং বাম পা দিয়ে বের হওয়া। এটি মসজিদ সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য গুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ।
- মসজিদে আগে যাওয়া এবং প্রথম কাতারে সালাত আদায়ের প্রতি আগ্রহী হওয়া। মহানবী (সাঃ) বলেন- যদি মানুষ জানতে পারত, আজান দেওয়া এবং প্রথম কাতারে সালাত পড়ার মাঝে কি আছে, তাহলে লটারি ব্যতীত সেটি পাওয়া সম্ভব হতোনা।
- মসজিদে প্রবেশকারী দুই রাকাত তাহিয়্যাতুল মসজিদ আদায় ব্যতীত বসবে না। এমনকি, মহানবী (সাঃ) বলেন- ইমামের খুৎবা চলা অবস্থায় তোমাদের কেউ যদি মসজিদে প্রবেশ করে, তাহলে সংক্ষেপে দুই রাকাত সালাত আদায় করবে।
- মসজিদে উচ্চস্বরে কথা বলা, কোরআন তেলাওয়াতকারী এবং সালাত আদায়কারীকে বিরক্ত করা যাবেনা। এটি মাকরূহ।
- মুক্তাদী জামায়াতে সালাত আদায়ের ক্ষেত্রে ইমামকে অনুসরণ করবে। নামাজের অভ্যন্তরীণ প্রতিটি আমল ইমামের পর পরই করতে হবে। ইমামের আগে বা একই সাথে করা যাবেনা।
মসজিদে প্রবেশের দোয়া
মসজিদ সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য এর অন্যতম হলো মসজিদে প্রবেশের দোয়া। মহানবী (সাঃ) মসজিদে প্রবেশের সময় নিম্নোক্ত দোয়াটি পড়তে বলেছেন-
আরবি: اللَّهمَّ افتَحْ لِيْ أبوابَ رَحْمَتِك-
উচ্চারণ:- “আল্লাহুম্মাফ তাহলি আবওয়াবা রহমাতিক”।
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমার জন্য আপনার রহমতের দরজাগুলো উন্মুক্ত করে দিন।
মসজিদ থেকে বের হওয়ার দোয়া
মহানবী (সাঃ) মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় নিম্নোক্ত দোয়াটি পড়তে বলেছেন-
আরবি:- اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِك
উচ্চারণ:- আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা মিন ফাদলিকা।
অর্থ:- হে আল্লাহ, আমি তোমার কাছে তোমার অনুগ্রহ প্রার্থনা করছি।
আরও পড়ুন: ঢাকার দর্শনীয় মসজিদ সমূহ
মসজিদ নির্মাণ ও মসজিদে দান করার ফজিলত
মসজিদ নির্মাণ ও মসজিদে দান করে উন্নয়নের ব্যাপক ফজিলত রয়েছে। যেমন-
- রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য মসজিদ নির্মাণ করল, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে ঘর নির্মাণ করবেন।’ (মুসলিম : ১২১৮; শুয়াবুল ঈমান : ২৯৩৯)
- হাশরের দিন সাত ব্যক্তি মহান আল্লাহ তায়ালার আরশের ছায়া পাবেন। তন্মধ্যে একজন- মসজিদ নির্মাণকারী।
- মহান আল্লাহ তাআলা বলেন- মসজিদ নির্মাণ করা ও মসজিদ আবাদ করা ঈমানদারের বৈশিষ্ট্য।
- যারা মসজিদ নির্মাণ করেন রাসুল (সা.) তাদেরকে ঈমানদার হিসেবে সাক্ষ্য দিতে নির্দেশ করেছেন।
- মসজিদের সুরক্ষা করা জিহাদ ফরজ হওয়ার অন্যতম কারণ।
- মহান আল্লাহ তায়ালা মসজিদ নির্মাণ, মসজিদ আবাদ, সুরক্ষা, মর্যাদা প্রদানের আদেশ করেছেন। তাই এতে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জিত হয়।
তবে মসজিদ সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য জেনে মসজিদ নির্মাণ এবং মসজিদে দান করার মূল উদ্দেশ্য হতে হবে মহান আল্লাহ তায়ালাকে সন্তুষ্ট করা। অন্য কোন উদ্দেশ্য বা লোক দেখানো হলে এর ফজিলত পাবেনা।
মসজিদ কমিটি: যোগ্যতা, গঠন
একটি মসজিদ পরিচালনায় এবং আদর্শ মসজিদ তৈরিতে ইসলামিক আদর্শ সম্পন্ন মসজিদ কমিটি থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মসজিদ কমিটির গঠনে বিভিন্ন পদ রয়েছে। যথা-
- সভাপতি,
- সহ-সভাপতি,
- সাধারণ সম্পাদক,
- সহ-সাধারণ সম্পাদক,
- কোষাধ্যক্ষ ও
- সদস্যমন্ডলী।
মসজিদ কমিটি গঠনে সমস্ত পদের সদস্যদের ইসলামিক ভাবাদর্শ, নৈতিকতা, ফরজ বিধানের মান্যকারি, বিনয়ী, নম্র ও নেতৃত্ব দানের যোগ্য ব্যক্তিদের বাছাই করতে হবে।
মসজিদ কমিটির দায়িত্ব
মসজিদের বিভিন্ন সমস্যা, নীতি ও মূল্যবোধ পরিচালনা, বাজেট ও তহবিল ব্যবস্থাপনা, ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেম তত্ত্বাবধান ইত্যাদি দায়িত্ব কমিটির সদস্যগণ সদতার সাথে পালন করতে হবে।
সামাজিক জীবনে মসজিদের গুরুত্ব
মসজিদ সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য জেনে বোঝা যায় মসজিদের গুরুত্ব অপরিসীম। ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক এমনকি আন্তর্জাতিক পর্যায়েও একটি মসজিদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। মসজিদ মানুষকে মহান আল্লাহ তাআলার কথা, মৃত্যু এবং বিচার দিবসের কথা স্মরণ করায়, যা পাপকাজ থেকে বিরত রাখে।
মানুষের নৈতিকতা উন্নয়নে মসজিদ প্রভাব ফেলে। ইসলামিক প্রচার ও প্রসার হয় মসজিদের মাধ্যমেই। মসজিদের খুতবার মাধ্যমেও হেদায়েত প্রাপ্ত হতে পারে একটি ধ্বংসপ্রায় সমাজ।
মসজিদের ছবি ডাউনলোড
মসজিদ সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য মানুষের মনে ইসলামিক জাগরণ ঘটায়। মহান আল্লাহ তায়ালার সবচেয়ে উত্তম স্থান এই মসজিদের একটি সুন্দর ছবিও ইসলামিক প্রসার ঘটাতে পারে। পৃথিবীতে অনেক আকর্ষণীয় ও সুন্দর মসজিদ রয়েছে।
মোবাইলের ওয়ালপেপার, ফেসবুক প্রোফাইল, বা বিভিন্ন পোস্টারে ছাপানোর জন্য এ সকল মসজিদের ছবি খুজে থাকি। নিম্নে কিছু আকর্ষণীয় মসজিদের ছবি তুলে ধরা হলো:-
শেষকথা
মসজিদ মুসলমানদের জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। মহান আল্লাহ সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য মসজিদ নির্মাণ করা ও বেশি বেশি মসজিদে দান করা আমাদের কর্তব্য। একই সাথে মসজিদ আবাদ করা ও মসজিদের আদব সমূহ মেনে চলতে হবে সর্বদা।