অনলাইনে ইনকাম করার উপায়- ২০২৪ সালে অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে চান?

অনলাইনে ইনকাম করার উপায় খুঁজছেন? তাহলে জেনে নিন সেরা ১৫ টি অনলাইন থেকে ইনকাম করার পদ্ধতি। তথ্য প্রযুক্তির যুগে অধিকাংশ কাজই এখন অনলাইন ভিত্তিক। দেশে চাকরির বাজার যেখানে সীমাবদ্ধ, অনলাইনে আয়ের সুযোগ সেখানে ততটাই প্রসারিত। তবে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার জন্য চাই সঠিক দিক নির্দেশনা। একইসাথে একটি নির্দিষ্ট কাজেই আত্মনিয়োগ করে দক্ষতা অর্জন করতে হবে।

অনলাইনে ইনকাম করার বহু পদ্ধতি রয়েছে। তা থেকে সবচেয়ে চাহিদা সম্পন্ন ১৫টি অনলাইন থেকে ইনকাম করার পদ্ধতি নিচে আলোচনা করা হলো:

(১) অনলাইন ছবি বিক্রি করে টাকা ইনকাম

অনলাইনে ছবি বিক্রি করা বর্তমানে একটি অনেক বেশি লাভজনক ব্যবসা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ছবি বিক্রি করে ইনকাম করার জন্য যেকোনো স্টক ইমেজ ওয়েবসাইটে কন্ট্রিবিউটর হিসেবে Sign up করুন। প্রথমে কিছু কোয়ালিটি সম্পন্ন ছবি দিয়ে প্রোফাইল এপ্রুভ করতে হবে। তারপর বিভিন্ন প্রেজেন্টেশন, প্রজেক্ট, কনটেন্ট ক্রিয়েটিংয়ের জন্য অনেকেই সেই ছবি ক্রয় করবে।

Stock Image Website গুলো ছবি প্রতি বিক্রয় মূল্যের ২৫% – ৬০% পর্যন্ত contributor দের দিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে কোয়ালিটি সম্পন্ন ছবি হলে বিক্রয় বেশি হবে। একজন প্রফেশনাল অনলাইন ফটো বিক্রেতা মাসে ৫০ হাজার থেকে শুরু করে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত উপার্জন করে।
অ্যাবস্ট্রাক্ট ছবি, প্রাকৃতিক দৃশ্য ও দর্শনীয় স্থানের ছবি, প্রাণীর মনমুগ্ধকর ছবি, ফ্যাশন, মডেলিং, ডিজাইনিং, টেকনোলজি, লাইফ স্টাইল, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য, বিজনেস প্রজেক্ট রিলেটেড ছবির চাহিদা বেশি। সেরা কিছু স্টক ইমেজ ওয়েবসাইট হলো: Shutterstock, Getty images, Istock, Adobe Stock, Alamy ইত্যাদি।

(২) ভার্চুয়াল এসিট্যান্ট হয়ে অনলাইন থেকে ইনকাম

বর্তমানে ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট এর চাহিদা অনেক বেশি। একজন ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট ঘরে বসেই অনলাইনে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের ক্লায়েন্টদের কাজে সহায়তা করে। সাধারণত কম্পিউটার স্ক্রিন শেয়ার দিয়ে বহির্বিশ্বের অফিসিয়াল কাজই বেশি করে থাকে ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট।
দক্ষতা অনুযায়ী একজন ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট এর আয় অনেক বেশি হতে পারে। প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট, অফিসিয়াল ডাটা এন্ট্রি, টেকনোলজি বা বিজনেস প্রজেক্ট ইত্যাদি অনেক কাজই করতে হতে পারে। এক্ষেত্রে পূর্বেই এই কাজটি সম্পর্কে ধারণা নিন। তারপর ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস বা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া সাইট থেকে ক্লায়েন্ট জোগাড় করুন।

(৩) গ্রাফিক্স ডিজাইন করে ইনকাম

গ্রাফিক্স ডিজাইনের চাহিদা রয়েছে সর্বত্রই। ওয়েবসাইটের লোগো/ প্রাতিষ্ঠানিক লোগো থেকে শুরু করে কন্টেন্ট ক্রিয়েটিং, পোস্টার, ব্যানার, ভিজিটিং কার্ড, ইউজার ইন্টারফেস ইত্যাদি সকল কাজেই গ্রাফিক্স ডিজাইনের ব্যবহার রয়েছে।
যদিও বর্তমানে Artificial Intelligence (Ai) এর ব্যবহার অনেকাংশেই গ্রাফিক্স ডিজাইনের চাহিদা পূরণ করছে। তবে একজন দক্ষতা সম্পন্ন প্রফেশনাল গ্রাফিক্স ডিজাইনারের স্থান দখল করতে পারেন।
৫-৭ হাজার টাকায় বাংলাদেশের বিভিন্ন আইটি ইনস্টিটিউট থেকে Graphics Design কোর্স করতে পারবেন। তারপর প্রিন্টিং শপে কিংবা অনলাইনে গ্রাফিক্স ডিজাইন করে ইনকাম করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে গ্রাফিক্স ডিজাইনারের চাহিদা অনেক বেশি।

(৪) ভিডিও এডিটিং করে অনলাইন থেকে ইনকাম

প্রগতিশীল অনলাইন সার্ভিসগুলোর মধ্যে ভিডিও এডিটিং এর চাহিদা সবচেয়ে বেশি। বর্তমানে অধিকাংশ মানুষ লিখিত কন্টেন্ট পড়ার চেয়ে ভিডিও কন্টেন্ট দেখা বেশি পছন্দ করে। প্রাতিষ্ঠানিক প্রজেক্ট, অ্যাডভার্টাইজমেন্ট, প্রমোশনাল ভিডিও, ইউটিউবিং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ইত্যাদি বিভিন্ন কাজে ভিডিও কন্টেন্ট লাগে। এর জন্য অনেক বেশি ভিডিও এডিটর প্রয়োজন হয়।
অন্যান্য ইনকাম গুলো তুলনায় ভিডিও এডিটরের কাজের মূল্য কয়েক গুণ বেশি। প্রফেশনাল ভিডিও এডিটররা প্রতি ১ মিনিটের ভিডিওর জন্য ৫-৭ ডলার বা তারও বেশি পেয়ে থাকে। অনলাইনে বা অফলাইনে অল্প টাকায় বিভিন্ন ভিডিও এডিটিং কোর্স করতে পারবেন।

আরও পড়ুন: ১০ টি দুর্দান্ত ছোট ব্যবসায়ের ধারণা – নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য

(৫) ওয়েব ডেভেলপমেন্ট করে অনলাইন ইনকাম

অনলাইনে ইনকাম করার উপায়
অনলাইনে ইনকাম করার উপায়

ওয়েবসাইটের চাহিদা প্রতিনিয়তই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এবং প্রায় সকল প্রকার ব্যবসার প্রতিষ্ঠান বর্তমানে নিজেদের ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট তৈরি করছে ব্যবসায় প্রসারতার জন্য। আপনি একজন ওয়েব ডেভেলপার হয়ে বিভিন্ন ওয়েবসাইট তৈরি করে ইনকাম করতে পারেন।

একজন ওয়েব ডেভলপার শুধুমাত্র ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস থেকে ইনকাম করতে পারে এমন নয়। ইন্ডিভিজুয়াল ভাবে ক্লায়েন্ট জোগাড় করেও অনেক বেশি ইনকাম করা যায়। Fiverr, Upwork এর একজন প্রফেশনাল ওয়েব ডেভেলপার ঘণ্টায় ৩০-১০০ ডলার পর্যন্ত ইনকাম করে থাকে। ওয়েব ডেভেলপমেন্টে দক্ষ হতে ৬ মাস থেকে ১ বছর সময় লাগে। প্রতিষ্ঠান ভেদে ১০-২৫ হাজার টাকায় ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কোর্স করতে পারবেন।

(৬) SEO করে অনলাইন থেকে ইনকাম

ডিজিটাল মার্কেটিং এর বড় একটি অংশ SEO। SEO বা Search Engine Optimization এর চাহিদা অনেক বেশি। ব্লগ ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম, এফিলিয়েট মার্কেটিং, প্রোডাক্ট প্রমোশন, বিজনেস প্রমোশন ইত্যাদি ক্ষেত্রে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের বিকল্প নেই।

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত সার্চ ইঞ্জিন হলো Google। গুগলের অসংখ্য রেংকিং ফ্যাক্টর নিয়ে কাজ করে একজন এসইও স্পেশালিস্ট। বিভিন্ন অনলাইন কিংবা অফলাইন আইটি ইনস্টিটিউট থেকে এসইও কোর্স করতে পারবেন স্বল্পমূল্যে। ইউটিউবে অসংখ্য ফ্রী কোর্স রয়েছে। একজন দক্ষ এসইও স্পেশালিস্ট এর কাজ পাওয়া খুবই সহজ। তাছাড়া নিজের ওয়েবসাইট খুলেও এসইও করে google অ্যাডসেন্স ও এফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে ইনকাম করতে পারেন।

(৭) ডাটা এন্ট্রি করে অনলাইন থেকে ইনকাম

ফ্রিল্যান্সিং কাজগুলোর মধ্যে ডাটা এন্ট্রি সহজ একটি সেবা। কম্পিউটারের বেসিক ধারণা থাকলেই এই কাজ করা সম্ভব। MS Word, MS Excel, Web Browsing ইত্যাদি সাধারণ দক্ষতার মাধ্যমেই ডাটা এন্ট্রি করে ইনকাম করতে পারবেন। এক্ষেত্রে বিশেষ কোন কোর্সের প্রয়োজন হবে না। ইউটিউব থেকেই ধারণা নিতে পারবেন। তবে প্রফেশনাল ডাটা এন্ট্রির জন্য একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ প্রয়োজন।

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে ডাটা এন্ট্রি কাজের চাহিদা বেশি। সেই সাথে ডাটা এন্ট্রি স্পেশালিস্টদের প্রতিযোগিতাও বেশি। তাই LinkedIn, Pinterest, Facebook ইত্যাদি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ক্লায়েন্ট যোগাড় করতে পারেন।

নিম্নে আরও কিছু অনলাইনে ইনকাম করার উপায় উল্লেখ করা হলো:

(৮) ভয়েস ওভার আর্টিস্ট হয়ে অনলাইন থেকে ইনকাম

ভিডিও এডিটরদের মতই ভয়েস ওভার আর্টিস্টের চাহিদা বেশি। ইউটিউব কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও কন্টেন্ট তৈরির জন্য যিনি ভয়েস দিয়ে ভিডিও উপস্থাপন করেন, তাকে ভয়েস ওভার আর্টিস্ট বলা হয়।

এর জন্য প্রাতিষ্ঠানিক কোনো কোর্সের প্রয়োজন হয় না। তবে ব্যক্তিগত প্রতিভা এবং নিয়মিত অনুশীলনের মাধ্যমে নিজেকে গড়তে হয়। একজন ভয়েস অফার আর্টিস্ট তার বাচনভঙ্গি এবং মেধার জন্য শুধু কথা বলেই ইনকাম করতে পারে। প্রফেশনাল ভয়েস আর্টিস্ট প্রতি মিনিটের ভিডিওর জন্য ৫ ডলার বা তারও বেশি চার্জ করে।

(৯) ই-বুক লিখে অনলাইন ইনকাম

ফিজিক্যাল বইয়ের চেয়ে দিন দিন ই-বুক এর চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশে ই-বুক এর প্রচলন তুলনামূলক কম। তবে বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে ইবুক এবং অডিও বুক এর চাহিদা বেশি। এর জন্য দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, প্রাতিষ্ঠানিক ও সাংস্কৃতিক জ্ঞানের প্রয়োজন রয়েছে।

আপনার ই-বুকের বিষয় হতে পারে গল্প কিংবা শিক্ষনীয় বিষয়। বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে এ বিষয়ে অনেক ক্লায়েন্ট পাওয়া যায়।

(১০) অনলাইন টিউটর হয়ে অনলাইন থেকে ইনকাম

করোনা কালীন সময় থেকে বাংলাদেশে অনলাইন টিউটরের/ক্লাসের প্রচলন বেশি। Fiverr, Upwork এর মতো মার্কেটপ্লেস গুলোতে অনলাইন টিউটরের অনেক চাহিদা বিশ্বব্যাপী।

তাছাড়া ইউটিউব ভিডিও করে, ফেসবুকে কিংবা ব্লগ ওয়েবসাইটে শিক্ষনীয় বিষয় পাবলিশ করেও ইনকাম করতে পারবেন। বাংলাদেশে অনলাইনে টিউটর খোঁজে অনেকেই। সেখানে অনেক বেশি ফি নিতে পারবেন।

(১১) ডিজিটাল মার্কেটিং করে অনলাইন ইনকাম

ব্যবসা করে ইনকাম করার আধুনিক ক্ষেত্র হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং। মূলত ইন্টারনেটের মাধ্যমে পণ্য বা সেবার প্রচার-প্রচারণায় ডিজিটাল মার্কেটিং এর অন্তর্ভুক্ত। বিভিন্ন প্রকার কোম্পানি ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান মার্কেটিং এর প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের উপর লক্ষ্য করছে।

ডিজিটাল মার্কেটিং বিভিন্ন প্রকার হতে পারে। যেমন- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, এসইও, কন্টেন্ট মার্কেটিং, ভিডিও মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং, এফিলিয়েট মার্কেটিং ইত্যাদি। এসকল বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে পারলে নিজস্ব প্রোডাক্টের পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সার হিসেবে বিভিন্ন কোম্পানির অধীনে উচ্চ পারিশ্রমিকে কাজ করতে পারবেন।

(১২) এফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলাইন ইনকাম

বিভিন্ন ই-কমার্স ওয়েবসাইটের বা কোম্পানি/ প্রতিষ্ঠানের পন্য বা সেবা প্রচারণার মাধ্যমে বিক্রয় করে কমিশন পাওয়াই এফিলিয়েট মার্কেটিং। এফিলিয়েট মার্কেটিং এর বিভিন্ন রকমের প্রোডাক্ট রয়েছে। যেমন-

  • জিক্যাল প্রোডাক্ট: সাপ্লিমেন্ট, বিউটি প্রোডাক্ট, ফ্যাশন প্রোডাক্ট।
  • ডিজিটাল প্রোডাক্ট: ওয়েবসাইট থিম, ই-বুক, অনলাইন কোর্স, ডোমেইন, হোস্টিং ইত্যাদি।
  • লীড জেনারেশন: ইমেইল সাবস্ক্রিপশন, অ্যাপস ডাউনলোড/ইনস্টল, ওয়েবসাইটে সাইনআপ ইত্যাদি

ই-কমার্স ওয়েবসাইট থেকে প্রোডাক্টের ইউনিক লিংক নিয়ে আপনার নিজস্ব ট্রাফিক সোর্সের কাছে প্রমোট করে পন্য বিক্রি করতে পারবেন।
সেরা কিছু এফিলিয়েট প্রোগ্রাম হলো:
1. Amazon
2. eBay
3. Share a sale
4. Alibaba
5. Flipkart
6. Daraz
7. Shopup BD
8. Rokomari ইত্যাদি

(১৩) রিসেলিং করে অনলাইন থেকে ইনকাম

অনলাইনে ইনকাম করার উপায়
অনলাইনে ইনকাম করার উপায়

পণ্য উৎপাদনকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান থেকে কম মরলে পন্য ক্রয় করে বেশি মূল্যে অন্য কোথাও বিক্রি করাই রিসেলিং। নির্দিষ্ট ট্রাফিক সোর্স/সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশি ফলোয়ারস থাকলে রিসেলিং একটি লাভজনক ব্যবসা হতে পারে। বহু ই-কমার্স ওয়েবসাইট রিসেলারদের জন্য মূলধন ছাড়াই ব্যবসা করার সুযোগ রেখেছে।
রিসেলিং করার জন্য সেরা কিছু ই-কমার্স ওয়েবসাইট হলো:
1. Daraz.com.bd
2. BDShop.com
3. Pickaboo.com
4. ClickBD.com;
5. Rokomari.com
6. Chaldal.com
7. Othoba.com
এছাড়া আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ই-কমার্স সাইটে কিংবা কোন কোম্পানির অধীনস্থ রিসেলার হয়ে ইনকাম করতে পারবেন।

(১৪) ফেসবুক পেজের মাধ্যমে অনলাইন থেকে ইনকাম

ইউটিউবের পাশাপাশি ফেসবুক পেজে ভিডিও পোস্ট করে মনিটাইজেশনের মাধ্যমে অধিক ইনকামের সুযোগ। ফেসবুকে ইন-স্ট্রিম এড, ব্র্যান্ডেড কনটেন্ট ও সাবস্ক্রিপশন থেকে ইনকাম হয়।

  •  বর্তমানে ফেসবুকে মনিটাইজেশন পাওয়ার যোগ্যতা:
  • গত ৬০ দিনে ৬০,০০০ মিনিট ওয়াচ টাইম।
  • কমপক্ষে ১০,০০০ পেজ ফলোয়ার।
  • সর্বনিম্ন ৫ টি এক্টিভ ফেসবুক ভিডিও। (ভিডিও লেন্থ ৩ মিনিটের উপরে হলে বেশি সুবিধা হবে)

(১৫) ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং করে অনলাইন থেকে ইনকাম

ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং হলো নিজের খ্যাতি, পরিচিতিকে কাজে লাগিয়ে পন্য বা সেবার প্রচার। সাধারণত বিভিন্ন সেলিব্রেটিরা এবং সোশ্যাল মিডিয়ার সুপরিচিত ব্যক্তিরা ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং করে। এক্ষেত্রে আপনার একটি ফেসবুক পেজ কিংবা অনেক বেশি ফলোয়ার সমৃদ্ধ ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার ইত্যাদি সোশাল মিডিয়ার ফলোয়ারদের কাজে লাগাতে পারেন।
যত বেশি ফলোয়ার থাকবে, আপনার প্রোডাক্ট প্রমোশনের জন্য বিভিন্ন কোম্পানি তত বেশি অর্থ দিবেন। আশা করি অনলাইনে ইনকাম করার উপায় লেখাটি পড়ে আপনি কিছুটা হলেও উপকৃত হবেন।

শেষকথা

উপরোক্ত ১৫ টি অনলাইনে ইনকাম করার উপায় ছাড়াও আরো বহু উপায় রয়েছে। আপনার পছন্দ ও দক্ষতা অনুযায়ী একটি কাজ বেছে নিন। অনলাইনে কর্মজীবনে প্রবেশের পূর্বে অবশ্যই সেই বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করুন। তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে সাধারণ চাকরি বা ব্যবসা থেকে অনলাইন কাজের উপার্জন বেশি।