আপনার NID কার্ডের সাথে যদি পাসপোর্টের তথ্যের মিল না থাকে, তাহলে জেনে নিন পাসপোর্ট সংশোধন করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত।
অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ডের তথ্যানুসারে, নতুন তথ্য দিয়ে পাসপোর্ট রিনিউয়ের আবেদন করে এবং একটি লিখিত আবেদন জমা দেওয়ার মাধ্যমে পাসপোর্ট এর তথ্য সংশোধন করতে পারবেন। এটি দালাল ছাড়া নিজে নিজেই করা যাবে। তাই আবেদন শুরুর আগেই পাসপোর্ট সংশোধন করার নিয়ম, কি কি লাগে, কত টাকা লাগে ইত্যাদি বিষয়ে সঠিক তথ্য জেনে নিন এই লেখা থেকে।
পাসপোর্ট সংশোধন করার নিয়ম
পাসপোর্ট সংশোধন করার জন্য, অনলাইনে ই পাসপোর্ট রিনিউ আবেদন করে, এ-চালানের মাধ্যমে পাসপোর্ট ফি পরিশোধ করুন। তারপর পাসপোর্ট সংশোধনের জন্য একটি লিখিত আবেদন ফরম ও অঙ্গীকারনামা পূরণ করে নিন। এবার সকল কাগজপত্র নিয়ে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস বায়োমেট্রিক দিয়ে আবেদন সম্পন্ন করুন।
কিছুদিন পর পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য আপনার নিকটস্থ থানায় ডাকা হবে এবং সেখানে সংশোধিত তথ্যের সত্যতা যাচাই করা হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে সংশোধিত পাসপোর্টটি তৈরি হবে। এবং আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে তা সংগ্রহ করতে পারবেন।
পাসপোর্ট সংশোধন সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রজ্ঞাপন
পাসপোর্ট সংশোধন সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে ২০২২ সালের ১৩ই ডিসেম্বর। এই প্রজ্ঞাপনেই বাংলাদেশ ও বিদেশ থেকে পাসপোর্টের তথ্য সংশোধনের জন্য নতুন নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। এই প্রজ্ঞাপনে উল্লেখিত ছিল যে,
বাংলাদেশে বা বিদেশে অবস্থানরত কোন বাংলাদেশী নাগরিকের জাতীয় পরিচয় পত্রের সাথে পাসপোর্ট এর তথ্যের মিল না থাকলে, আইডি কার্ডের তথ্য অনুসারে তার সংশোধন করতে পারবে। আর যারা অপ্রাপ্তবয়স্ক, তারা জন্ম নিবন্ধন সনদ, এমনকি বিশেষ প্রয়োজনে শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট দিয়েও পাসপোর্ট সংশোধনের আবেদন করতে পারবে।
পাশাপাশি পাসপোর্ট সংশোধনের জন্য লিখিত আবেদন জমা দিতে হবে। এবং আবেদনকারীকে একটি অঙ্গীকারনামা সঠিকভাবে পূরণ করে স্বাক্ষরসহ জমা দিতে হবে।
পাসপোর্ট কি কি তথ্য সংশোধন করা যায়
পাসপোর্ট সংশোধনের আবেদন করার মাধ্যমে আপনি যে সকল তথ্যগুলো পরিবর্তন করতে পারবেন, সেগুলো হলো:
- পাসপোর্টধারী ব্যক্তির নিজের নাম, নামের বানান বা আংশিক নাম বাংলায় ও ইংরেজিতে।
- ব্যক্তির জন্ম তারিখ।
- ভোটার আইডি কার্ড অনুসারে পিতা-মাতার নাম বা নামের অংশ।
- পাসপোর্টধারী ব্যক্তির পেশা।
- এছাড়াও অন্যান্য পরিচয়বাচক তথ্য গুলো পরিবর্তন করা যাবে।
তবে, তথ্য সংশোধনের আবেদন করার সময় আবেদনের স্বপক্ষে অবশ্যই উপযুক্ত প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে। উপযুক্ত প্রমাণপত্র ছাড়া পাসপোর্টের এই পরিচয়বাচক জটিল তথ্যগুলো সংশোধন করা যাবে না। বরং আবেদন বাতিল করা হবে।
পাসপোর্ট সংশোধন করতে কি কি লাগে
পাসপোর্ট সংশোধন করতে, NID Card/ জন্ম নিবন্ধন সনদ কিংবা JSC/ SSC/ HSC পরীক্ষার সার্টিফিকেট লাগবে। পাশাপাশি পুরাতন পাসপোর্ট, লিখিত আবেদন, পাসপোর্টের তথ্য সংশোধনের অঙ্গীকারনামা প্রয়োজন হবে।
তবে আপনি যদি বিদেশে অবস্থান করে বাংলাদেশি কোন দূতাবাসে পাসপোর্ট সংশোধনের জন্য আবেদন করেন, তবে ভিন্ন কাগজপত্র প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে সেই দেশের Permanent Resident Card/ Driving License/ Student ID Card/ Job ID Card ইত্যাদি যেকোন একটি ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে।
নতুন পাসপোর্ট করতে বা পাসপোর্ট রিনিউ করতে চাইলে কি কি লাগবে, তা জানতে আরও পড়ুনঃ নতুন পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে।
অনলাইনে পাসপোর্ট সংশোধন করার নিয়ম
অনলাইনে পাসপোর্ট সংশোধন করার জন্য, পাসপোর্ট সম্পর্কিত সরকারি ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করতে হবে। এক্ষেত্রে অনলাইন আবেদনের ধাপগুলোতে, আপনি যেই নতুন (সংশোধিত) তথ্য দিতে চাচ্ছেন সেগুলো দিতে হবে। অনলাইনে আবেদন করা থেকে শুরু করে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে আবেদন জমা দেওয়ার বিস্তারিত প্রক্রিয়াটি নিচে বর্ণনা করা হলো:
- সর্বপ্রথম ভিজিট করুন www.epassport.gov.bd লিংকে ভিজিট করে Apply Online অপশনে যান।
- তারপর আপনার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ও নিকটস্থ থানা সিলেক্ট করুন।
- পরবর্তী পেজে ইমেইল এড্রেস, আপনার নাম, মোবাইল নাম্বার ও পাসওয়ার্ড দিয়ে একটি একাউন্ট খুলুন।
- অ্যাকাউন্ট খোলা সম্পন্ন হলে ইমেইল এড্রেস ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন। তারপর ‘Apply for a new passport’ অপশনে ক্লিক করুন।
- এবার পাসপোর্টের ধরন সিলেক্ট করুন ও নতুন পেজে গিয়ে এনআইডি কার্ড অনুসারে আপনার ও আপনার ঠিকানার তথ্য দিন।
- তারপর, ID Documents অপশনে আপনার পূর্ববর্তী পাসপোর্টের তথ্য দিতে হবে। এখানে পাসপোর্ট রিনিউ করার কারন হিসেবে “DATA CHANGE” -অপশনটি সিলেক্ট করবেন। তারপর আপনার পূর্ববর্তী পাসপোর্টের নাম্বার, পূর্ববর্তী পাসপোর্টের ইস্যু ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ লিখবেন। এবং নিচের Identification Information অপশনে আপনার এন আইডি নম্বর/ জন্ম নিবন্ধন নম্বর দিয়ে save and continue -তে ক্লিক করে দিবেন।
- এবার আবেদনকারীর পিতা-মাতার ও একজন অভিভাবকের তথ্য দিন।
- তারপর বৈবাহিক অবস্থার তথ্য ও জরুরী যোগাযোগের তথ্য দিয়ে, পাসপোর্টের পৃষ্ঠা সংখ্যা ও মেয়াদ সিলেক্ট করুন।
- সর্বশেষে, পাসপোর্ট ডেলিভারি অপশন সিলেক্ট করার পর আবেদনের সকল তথ্যগুলো দেখানো হবে। এখান থেকে তথ্যগুলো রিভিউ করে আবেদন সাবমিট করুন।
- আবেদন সাবমিট এরপর আবেদনের কপি প্রিন্ট করুন ও এ-চালানের মাধ্যমে পাসপোর্ট ফি পরিশোধ করুন।
- এবার পাসপোর্টের তথ্য সংশোধনের লিখিত আবেদনের জন্য, “পাসপোর্ট সংশোধন আবেদন ফরম” ডাউনলোড করে পূরণ করে নিন।
- তারপর একটি “পাসপোর্ট সংশোধন অঙ্গীকারনামা” -লিখে পূরণ করে নিতে হবে।
এসকল কাগজপত্র তৈরি হয়ে যাওয়ার পর, আপনার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে সকল কাগজপত্রসহ যেতে হবে। সেখানে এই কাগজপত্রগুলো জমা দিয়ে বায়োমেট্রিক তথ্য (ছবি, ফিঙ্গারপ্রিন্ট, আইরিশ স্ক্যান) দিতে হবে। ব্যাস, আপনার পাসপোর্টের তথ্য সংশোধনের আবেদন সম্পন্ন হয়েছে।
কিছুদিন পর গোয়েন্দা বিভাগ থেকে পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য যোগাযোগ করা হবে। তারপর নির্দিষ্ট ধাপ গুলো সম্পন্ন করে নতুন সংশোধিত পাসপোর্টটি তৈরি হয়ে যাবে।
পাসপোর্টে নাম সংশোধন
পাসপোর্টের নাম সংশোধন করার জন্য উপরোক্ত পদ্ধতি অনুসরণ করে ও সঠিক কাগজপত্র সহকারে সংশোধনের আবেদন করতে হবে। এক্ষেত্রে সংশোধনের জন্য ডকুমেন্ট হিসেবে জাতীয় পরিচয়পত্র/জন্ম নিবন্ধন সনদ/ শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট ও অঙ্গীকারনামা জমা দিতে পারেন।
সাধারণত একটি পাসপোর্টে ব্যক্তির সম্পূর্ণ নাম সংশোধন করা যায়না। বরং পাসপোর্টধারী ব্যক্তির নিজের নাম, পিতা-মাতার নামের বানান, নামের আংশিক পরিবর্তন করতে পারবেন।
পাসপোর্টে জন্ম তারিখ সংশোধন
একজন পাসপোর্টধারী ব্যক্তি তার প্রয়োজন অনুসারে, পাসপোর্টে থাকার জন্ম তারিখও পরিবর্তন করতে পারবে। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই ভোটার আইডি কার্ড অনুসারে জন্ম তারিখের তথ্য সংশোধন করতে হবে। অথবা আপনি যদি অপ্রাপ্তবয়স্ক হন, সেক্ষেত্রে ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন সনদ বা শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট দিয়েও পাসপোর্টের বয়স সংশোধন করা যাবে।
তবে বয়স সংশোধনের ক্ষেত্রে, পূর্ববর্তী তথ্য ও নতুন তথ্যের মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য থাকলে আবেদন বাতিল হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
এনআইডি অনুযায়ী পাসপোর্ট সংশোধন করা যাবে কি?
হ্যাঁ। প্রাপ্তবয়স্ক বাংলাদেশী নাগরিকরা তাদের এন আইডি কার্ড অনুযায়ী পাসপোর্ট সংশোধন করতে পারবে। তবে ভোটার আইডি কার্ড না থাকলে, জন্ম নিবন্ধন সনদ বা বোর্ড পরীক্ষার সার্টিফিকেট দিয়েও সংশোধন করতে পারবে।
পাসপোর্ট সংশোধন আবেদন ফরম ডাউনলোড ও পূরণ
পাসপোর্ট এর তথ্য সংশোধন করতে চাইলে, অনলাইনে আবেদনের পাশাপাশি একটি লিখিত আবেদনও করতে হয়। এর জন্য একটি নির্ধারিত আবেদন ফরম রয়েছে। আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে এই ফরমটি সংগ্রহ করতে পারবেন। অথবা পাসপোর্ট সম্পর্কিত অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করা যাবে। সেখান থেকে ফরমটি ডাউনলোড করে, তা আগে থেকেই পূরণ করে পাসপোর্ট অফিসে আবেদনের সময় জমা দিতে পারবেন।
সরাসরি সরকারি ওয়েবসাইট থেকে পাসপোর্ট সংশোধন ফরম ডাউনলোড করতে, পাসপোর্ট সংশোধন ফরম ডাউনলোড -এই লিংকে ক্লিক করুন। তারপর ফরমটি ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে নিন।
এবার নিম্নোক্তভাবে ধাপে ধাপে পাসপোর্ট সংশোধনের ফরমটি পূরণ করুন:
- আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের নাম লিখুন।
- পাসপোর্ট ডেলিভারি পাওয়ার কাঙ্খিত ধরন সিলেক্ট করুন।
- তারপর বাংলা ভাষায় আবেদনকারীর সম্পূর্ণ নাম লিখুন। পাশাপাশি ইংরেজি বড় হাতের অক্ষরে আবেদনকারীর নাম লিখুন।
- পূর্ববর্তী পাসপোর্টের পাসপোর্ট নাম্বার লিখুন।
- পূর্ববর্তী পাসপোর্ট ইস্যু করার স্থান ও ইস্যুর তারিখ লিখুন।
- পূর্ববর্তী পাসপোর্ট মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ লিখুন।
- এবার একটি টেবিল দেখতে পাবেন। এখানে পাসপোর্টে থাকা বর্তমান তথ্য এবং পাশের ঘরে চাহিত সংশোধিত তথ্য গুলো তুলে ধরুন।
- পূর্ববর্তী তথ্যগুলো যে ভুলবদ্ধ হয়েছিল তা প্রমাণের জন্য কি কি ডকুমেন্ট সংযুক্ত করবেন, তা লিখুন।
- অনলাইনে আবেদনের সময় প্রাপ্ত পাসপোর্ট রি-ইস্যু ফি -এর পরিমান কত হয়েছে এবং কিভাবে ফি পরিশোধ করেছেন, তা লিখুন।
- ফি পরিশোধের তথ্য হিসেবে পরিশোধের ব্যাংকের নাম, শাখা এবং চালান নম্বর লিখতে হবে।
ব্যাস, আপনার পাসপোর্ট সংশোধনের লিখিত আবেদন ফরমটি পূরণ হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: ই পাসপোর্ট করার নিয়ম – প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও খরচ
পাসপোর্ট সংশোধন অঙ্গীকারনামা
পাসপোর্টের কোন তথ্য সংশোধন করার জন্য একটি সংশোধনী অঙ্গীকারনামা জমা দিতে হবে। আপনি চাইলে সরাসরি ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট থেকে অঙ্গীকারনামা লেখার ফরম ডাউনলোড করতে পারবেন।
তারপর সেটি প্রিন্ট করে আবেদনকারীর পরিচয়বাচক তথ্য, পাসপোর্ট নাম্বার এবং ইস্যুর তারিখ উল্লেখ করে নিবেন। পাশাপাশি পাসপোর্টৈর বর্তমান তথ্য ও চাহিত সংশোধিত তথ্য পূরণ করে নিবেন। তারপর অন্যান্য কাগজপত্রের সাথে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে জমা দিতে হবে।
পাসপোর্ট সংশোধন করতে কত টাকা লাগে
মূলত সংশোধনের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট রিনিউ করার আবেদন করতে হয়। তাই পাসপোর্ট সংশোধন ফি নতুন পাসপোর্ট ফি এর সমপরিমাণ। নিচে পাসপোর্ট সংশোধন ফি এর তালিকা দেওয়া হলো:
পাসপোর্ট এর মেয়াদ | পাসপোর্ট এর পৃষ্ঠা সংখ্যা | সংশোধিত পাসপোর্ট ডেলিভারি পাওয়ার ধরন | ||
Regular Delivery | Express Delivery | Super Express Delivery | ||
৫ বছর | ৪৮ পৃষ্ঠা | ৪,০২৫ | ৬,৩২৫ | ৮,৬২৫ |
৬৪ পৃষ্ঠা | ৬,৩২৫ | ৮,৬২৫ | ১২,০৭৫ | |
১০ বছর | ৪৮ পৃষ্ঠা | ৫৭৫০ | ৮০৫০ | ১০৩৫০ |
পাসপোর্ট সংশোধন করতে কতদিন সময় লাগে
পাসপোর্টের তথ্য সংশোধন করার ক্ষেত্রে, নতুন পাসপোর্ট আবেদনের মতোই সময় লাগে। এক্ষেত্রে আপনি পাসপোর্ট ডেলিভারির ধরন সিলেক্ট করতে পারবেন। যেমন: রেগুলার ডেলিভারি, এক্সপ্রেস ডেলিভারি ও সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারি।
রেগুলার ডেলিভারি সিলেক্ট করলে প্রায় ২১ কার্যদিবস। এক্সপ্রেস ডেলিভারি সিলেক্ট করলে ৭-১০ কার্যদিবস। এবং সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারি সিলেক্ট করলে ২-৩ কার্যদিবস সময় লাগতে পারে।
শেষকথা
উপরোক্তভাবে পাসপোর্ট সংশোধন করার নিয়মে আপনার পাসপোর্টের তথ্য সংশোধন করতে পারবেন। ধন্যবাদ।