কুরআনে রোগ মুক্তির দোয়া

কুরআনে রোগ মুক্তির দোয়া : মহান আল্লাহ তায়ালা মানুষকে দূর্বল করে সৃষ্টি করেছেন এবং আমাদের মাঝে নানারকম রোগ-ব্যাধী হয়েছে থাকে। এসকল সাধারন রোগ, কঠিন রোগ ও মহামারী থেকে রক্ষার জন্য পবিত্র কোরআনে ও হাদিসগ্রন্থ গুলোতে বহু দোয়া ও জিকির শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। এই পোস্টে সকল প্রকার রোগ থেকে মুক্তি পেতে কোরআনে রোগ মুক্তির দোয়াসমূহ তুলে ধরা হলো।

পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন-

– ﻭَﻧُﻨَﺰِّﻝُ ﻣِﻦ ﺍﻟۡـﻘُﺮۡﺍٰﻥِ ﻣَﺎ ﻫُﻮَ ﺷِﻔَﺎٓﺀٌ ﻭَّﺭَﺣۡﻤَﺔٌ ﻟِّـﻠۡﻤُﺆۡﻣِﻨِﻲ ۡﻥ

বাংলা উচ্চারন: “ওয়া নু-নাজ্জিলু মিনাল কুরআনি মা হুয়া শিফা-উ ওয়া রহমাতুল্লিল মু’মিনি-ন।”
বাংলা অর্থ: “আমি (আল্লাহ) কুরআনে এমন কিছু নাজিল করি যা রোগ এর সু-চিকিৎসা এবং মু’মিনের জন্য রহমত।” (সূরা বনি ইসরাইল, আয়াত- ৮২)।

তাই, দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে কোরআনে রোগ মুক্তির দোয়া গুলো পাঠ করলে মহান আল্লাহ তায়ালা সুস্থতা দান করবেন, ঈন-শা-আল্লাহ।

কুরআনে রোগ মুক্তির দোয়া

মহান আল্লাহ তায়ালা কোরআনে রোগ মুক্তির দোয়াসমূহ মানুষের জন্য শিফা স্বরূপ নাজিল করেছেন। আল্লাহর কাছে কঠিন রোগ থেকে মুক্তির দোয়া করে নিম্নোক্ত দোয়াটি পাঠ করা যায়:-

আরবি: اَللهم إنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ البَرَصِ، وَالجُنُونِ، وَالجُذَامِ، وَسَيِّيءِ الأَسْقَامِ

বাংলা উচ্চারন: “আল্লা-হুম্মা ইন্নি আ’উযু বিকা মিনাল বারাসি, ওয়াল জুনুনি, ওয়াল ঝুজামি, ওয়া সাইয়্যি-য়িল আসক্বাম।”

বাংলা অর্থ: “হে আল্লাহ, আমি অবশ্যই তোমার কাছে ধবল, উন্মাদ, কুষ্ঠরোগ এবং সব ধরণের কঠিন রোগব্যাধি থেকে আশ্রয় চাইছি।” (নাসাঈ, আবু দাউদ, মুসনাদে আহমাদ, রিয়াদুস সালেহিন)

মহামারী ও নানারকম কঠিন রোগব্যাধির অন্যতম বড় কারন পাপাচার। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন-

“যখন কোনো জাতির মধ্যে অশ্লীলতা ও বেহায়াপনা ছড়িয়ে পড়বে তখন তাদের মধ্যে এমন এমন নতুন রোগব্যাধি ছড়িয়ে পড়বে, যা ইতোপূর্বে দেখা যায়নি।” (ইবনে মাজাহ)

মহানবী (সাঃ) অশ্লীলতা ও বেহায়াপনা থেকে বাচতে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চেয়ে দোয়া করতে বলেছেন-

আরবি: اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ مُنْكَرَاتِ الأَخْلاَقِ وَالأَعْمَالِ وَالأَهْوَاءِ وَ الْاَدْوَاءِ

বাংলা উচ্চারণ: “আল্লা-হুম্মা ইন্নি আ’উযু বিকা মিন মুনকারাতিল আখলাক্বি, ওয়াল আ’মালি ওয়াল আহ ওয়ায়ি, ওয়াল আদ-ওয়ায়ি।”

বাংলা অর্থ: “হে আল্লাহ, নিশ্চয়ই আমি তোমার কাছে মন্দ চরিত্র, অন্যায় কাজ ও কুপ্রবৃত্তির অনিষ্টতা এবং বাজে অসুস্থতা ও নতুন সৃষ্ট রোগ বালাই থেকে আশ্রয় চাই।” (তিরমিজি)

বদনজরের দোয়া

অসুস্থতা ও রোগ-শোকের মধ্যে বদনজর অত্যন্ত ক্ষতিকর। নিয়মিত পবিত্র কোরআনে রোগ মুক্তির দোয়াগুলো থেকে আমল করে বদনজর থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কোরআনিক আমলগুলো হলো:

  • সুরা ফাতিহা পড়া।
  • সুরা ইখলাস পড়া।
  • সুরা ফালাক্ব পড়া।
  • সুরা নাস পড়া।
  • আয়াতুল কুরসি পড়া (সুরা বাকারা, আয়াত-২৫৫)
  • সুরা বাকারার শেষের দুই আয়াত (২৮৫ ও ২৮৬)

এছাড়াও বদনজরে আক্রান্ত ব্যক্তিকে ঝাঁড়-ফুক করার সময় নিম্নোক্ত দোয়াটি পাঠ করা যায়:

আরবি: بِسْمِ اللهِ أرْقِيْكَ مِنْ كُلِّ شَيْءٍ يُؤْذِيْكَ وَمِنْ شَرِّ كُلِّ نَفْسٍ أوْ عَيْنٍ حاَسِدٍ اللهُ يَشْفِيْكَ بِسْمِ اللهِ أرْقِيْكَ

বাংলা উচ্চারন: “বিসমিল্লাহি আরক্বিকা মিং কুল্লি শাইয়্যিন ইয়ুজিকা, ওয়া মিন সার-রি কুল্লি নাফসিন আও আইনিন হাসাদি-ল্লাহু ইয়াশফি’কা বিসমিল্লাহি আরক্বিকা।”

বাংলা অর্থ: “আল্লাহর নামে কষ্ট দানকারীর সব অনিষ্টতা হতে তোমাকে ঝাঁড়ফুক করছি। হিংসুক ব্যক্তির কু-দৃষ্টির অনিষ্টতা হতে আল্লাহর নামে তোমাকে ঝাঁড়ফুক করছি। আল্লাহ তোমাকে আরোগ্য দান করতে তারই নামে ঝাঁড়ফুক করছি।” (বুখারি ও মুসলিম)

অন্য হাদিসে বদনজর থেকে বাচতে নিম্নোক্ত দোয়া উল্লেখিত রয়েছে-

আরবি: أعُوذُ بِكَلِماَتِ اللهِ التاَّمَّةِ مِنْ كُلِّ شَيْطاَنٍ وَهاَمَّةٍ وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لاَمَّةٍ

বাংলা উচ্চারন: “আ’উযু বিকা লিমা-তিল্লাহিত্ তাম্মাতি মিন কুল্লি শাইত্বা’নিন ওয়া হাম্মাতিন ওয়া মিন কুল্লি আইনিন লি আম্মাতিন।”

বাংলা অর্থ: “আল্লাহর পরিপূর্ণ কালাম সমূহের মাধ্যমে শয়তানের সকল আক্রমণ হতে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাচ্ছি। বিষধর প্রাণী ও বদনজর কারীর অনিষ্টতা থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাচ্ছি।” (বুখারি)

এছাড়াও কুরআনে রোগ মুক্তির দোয়া সমূহ অনেক ফজিলত পূর্ন।

সুস্থতার দোয়া

সুস্থতা মহান আল্লাহর এক বিশেষ নেয়ামত। শরীর সুস্থ থাকলে পৃথিবীর সকল নেয়ামত উপভোগ করা যায় পরিপূর্ণভাবে। তাই সুস্থতার জন্য মহান আল্লাহর কাছে এই দোয়া করা যায়-

বাংলা উচ্চারণ: “আল্লা-হুম্মা আফিনি ফি বাদানি, আল্লা-হুম্মা আফিনি ফি সাম’ই, আল্লা-হুম্মা আফিনি ফি বাসারি, লা ইলাহা ইল্লা আনতা।”

বাংলা অর্থ: “হে আল্লাহ! আমার দেহ সুস্থ রাখুন। হে আল্লাহ! আমাকে সুস্থ রাখুন আমার শ্রবণ-ইন্দ্রিয়তে। হে আল্লাহ! আমাকে সুস্থ রাখুন আমার দৃষ্টিশক্তিতে। আপনি ছাড়া আর কোনো উপাস্য নেই।”

এছাড়াও সুস্থতার জন্য নিম্নোক্ত দোয়াটি নিয়মিত পাঠ করতে পারেন-

বাংলা উচ্চারণ: “আল্লা-হুম্মা রাব্বান্ নাসি মুজহিবাল বাসি, ইশফি আনতাশ্ শাফি, লা শাফিয়া ইল্লা আনতা শিফায়ান লা ইয়ু গাদিরু সাকামা।”

বাংলা অর্থ: “হে আল্লাহ, মানুষের প্রতিপালক, কষ্ট দূরকারী। আমাকে আরোগ্য দান করুন, আপনি আরোগ্যকারী। আপনি ছাড়া আর কোনো আরোগ্যকারী নেই। এমন আরোগ্য দিন যেন কোনো রোগই অবশিষ্ট না থাকে।

পেট ব্যাথা কমানোর দোয়া। পেটের রোগ থেকে মুক্তির দোয়া

শারীরিক অসুস্থতার বড় একটি সমস্যা হলো পেট ব্যথা। নানা কারণে পেটে ব্যথা হতে পারে। পেট ব্যাথা কমানোর জন্য কোরআনে রোগ মুক্তির দোয়া হিসেবে সূরা: আর-রহমান অনেক বেশি ফজিলতপূর্ন। পেট ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে নিম্নোক্ত দোয়াটি পাঠ করাও ফজিলতপূর্ণ-

আরবি: أعوذُ باللهِ و قُدرتِه من شرِّ ما أَجِدُ و أُحاذِرُ

বাংলা উচ্চারণ: “আ’উযু বি-ইজ্জাতিল্লাহি ওয়া কুদরা-তিহি মিন শাররি মা আজিদু ওয়া উহা-জিরু।”

বাংলা অর্থ: “আল্লাহর মর্যাদা ও তার কুদরতের উসিলায় আমি যা অনুভব এবং ভোগ করছি, তা থেকে মুক্তি চাইছি।”

এছাড়াও পবিত্র কুরআনে রোগ মুক্তির দোয়া হিসেবে পেট ব্যাথা কমাতে একটি ফজিলতপূর্ণ আয়াত রয়েছে। এটি নিয়মিত পাঠ করলে পেট ব্যথা ও পেটের যাবতীয় সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যায়। দোয়াটি হলো:-

আরবি: لَا فِيْهَا غَوْلٌ وَّلَا هُمْ عَنْهَا يُنْزَفُوْنَ

বাংলা উচ্চারণ: “লা ফিহা গাওলুওঁ ওয়ালা হুম আনহা ইয়ুং যাফুন।” (সুরা আস-সাফ্ফাত, আয়াত- ৪৭)

বাংলা অর্থ: “তাতে ক্ষতিকর কিছু থাকবে না এবং তাতে তারা মাতালও হবে না।”

গলায় কাটা নামানোর দোয়া

গলায় কাটা আটকানো একটি স্বাভাবিক বিষয়। তবে অনেক সময় বহু চেষ্টা করেও তার থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায় না। তবে গলায় কাটা নামানোর জন্যও কোরআনে রোগ মুক্তির দোয়া রয়েছে। পবিত্র অবস্থায় বিসমিল্লাহ সহকারে নিচের দোয়াটি পাঠ করতে থাকলে কিছুক্ষণের মধ্যেই কাটা নেমে যাবে ঈন-শা-আল্লাহ।

আরবি: فَلَوْلَآ إِذَا بَلَغَتِ ٱلْحُلْقُومَ

বাংলা উচ্চারণ: “ফালাও-লা ইযা বালাগাতিল হুলকুম।”

বাংলা অর্থ: “অতঃপর যখন কারও প্রাণ কন্ঠাগত হয়।” (সূরা আল-ওয়াকিয়াহ, আয়াত- ৮৩)।

এই আয়াতটি পাঠ করার পাশাপাশি কাটা না সারা পর্যন্ত ঢোক গিলতে থাকুন অথবা গলায় আলতোভাবে মালিশ করুন।

আরও পড়ুন: ইফতারের দোয়া- তারাবির নামাযের দোয়া ও নিয়ত

জ্বর কমানোর দোয়া

জ্বর মুমিনদের গুনাহ মাফের অন্যতম নিদর্শন। তবে জ্বরের তীব্রতা কমাতে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া উত্তম। কোরআনে রোগ মুক্তির দোয়া নিয়মিত পাঠ করে এর থেকে সুস্থতা পাওয়া যায়। এছাড়াও রাসূলুল্লাহ (সাঃ) জ্বর ও গলা ব্যথায় নিযুক্ত দোয়া পাঠ করতেন-

আরবি: بِسْمِ اللَّهِ الْكَبِيرِ أَعُوذُ بِاللَّهِ الْعَظِيمِ مِنْ شَرِّ كُلِّ عِرْقٍ نَعَّارٍ وَمِنْ شَرِّ حَرِّ النَّارِ

বাংলা উচ্চারণ: “বিসমিল্লা-হিল কাবির, আ’উযু বিল্লা-হিল আজিম, মিন শাররি কুল্লি ইরকিন না’আর, ওয়া মিন শাররি হার-রিন নার।”(তাবারানি, তিরমিজি, মুজামুল কাবির)

বাংলা অর্থ: “মহান আল্লাহ তায়ালার নামে, আমি আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করছি; প্রবল প্রবাহমান রক্তচাপের আক্রমণ থেকে, জাহান্নামের উত্তপ্ত আগুনের অনিষ্ট থেকে।” (তিরমিজি- ২০৭৫; নাসায়ি, মকবুল দোয়া- ১৬৩)

ব্যথার দোয়া

মাঝে মাঝে বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ব্যাথায় আমরা কাতর হয়ে যাই। তখন মহান আল্লাহর কাছে কোরআনে রোগ মুক্তির দোয়া পাঠ করে দোয়া করতে পারি। হজরত উসমান ইবনু আবুল আস-সাকাফি (রাঃ) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) আমার কাছে এসেছিলেন, আমি তখন ধ্বংসাত্মক ব্যথার কারনে অস্থির ছিলাম। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বললেন- ব্যথার জায়গাতে তোমার ডানহাত দিয়ে ৭ বার মর্দন কর এবং বল-

আরবি: بِسْمِ اللَّهِ أَعُوذُ بِعِزَّةِ اللَّهِ وَقُدْرَتِهِ مِنْ شَرِّ مَا أَجِدُ وَأُحَاذِرُ

বাংলা উচ্চারণ: “বিসমিল্লাহি আ’উযু বি ইজ্জাতি-ল্লাহি ওয়া কুদরাতিহি মিন শাররি মা আঝিদু।”

বাংলা অর্থ: “আল্লাহ তাআলার নামে, আমি আল্লাহ ইজ্জাত ও সম্মান, তার কুদরত ও শক্তি এবং তার রাজত্ব, সার্বভৌমত্ব ও কর্তৃত্বের কাছে আমার এই কষ্ট হতে মুক্তি প্রার্থনা করছি।”

এছাড়াও পবিত্র কোরআনে রোগ মুক্তির দোয়া রয়েছে অনেক।

প্রয়োজনীয় কিছু দোয়া

দোয়া কুনুত- আরবি উচ্চারণ ও বাংলা অর্থসহ

ইফতারের দোয়া- তারাবির নামাযের দোয়া ও নিয়ত

নামাজের সকল দোয়া সমূহ। নামাজের তাসবীহ ও দোয়া সমূহের অর্থ

মসজিদ সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য

অসুস্থ ব্যক্তির জন্য দোয়া

অসুস্থ ব্যাক্তিকে দেখতে যাওয়া মহানবী (সাঃ) একটি বড় সুন্নত। পাশাপশি রোগী বা অসুস্থ ব্যক্তির জন্য দোয়া করাও আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। অসুস্থ ব্যক্তির জন্য দোয়া করতে রাসূল (সাঃ) আমাদের বহু দোয়া শিক্ষা দিয়েছেন।

(১) রাসুল (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি এমন কোনো রুগ্ন ব্যক্তির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে, যার এখনো মৃত্যুর সময় উপস্থিত হয়নি, তার নিকট সাতবার এই দোয়াটি পাঠ করবে

আরবি: أَسْأَلُ اللهَ العَظيمَ، رَبَّ العَرْشِ العَظِيمِ، أَنْ يَشْفِيَكَ

বাংলা উচ্চারন: “আস আলুল্লাহাল আজিমা, রাব্বাল আরশিল আজিমি, আই’য়া শফিয়াক।”

বাংলা অর্থ: “আমি সুমহান আল্লাহ, মহা আরশের প্রভুর নিকট তোমার আরোগ্য প্রার্থনা করছি, আল্লাহ তাকে সে রোগ থেকে মুক্তি দান করবেন।” (তিরমজি, আবু দাউদ, মুসনাদে আহমাদ)

(২) হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ)- থেকে আরো বর্ণিত হয়েছে, রাসুল (সাঃ) একজন বেদুঈনকে দেখতে গেলেন। আর তাঁর নিয়ম এই ছিল যে, যখন তিনি কোনো রোগীকে দেখতে যেতেন তখন বলতেন-

আরবি: لَا بَأْسَ طُهُوْرٌ اِنْشَاءَ اللهُ

বাংলা উচ্চারন: “লা বা’সা তুহু-রুন ঈন-শা-আল্লাহ।”

বাংলা অর্থ: “ভয় নেই, আল্লাহ তায়ালার মেহেরবানীতে আরোগ্য লাভ করবে ঈন-শা-আল্লাহ।” (মুসলিম, বুখারি, মিশকাত)

(৩) হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন- আমাদের মধ্যে যখন কেউ অসুস্থ হতো তখন রাসুল (সাঃ) তাঁর ডান হাত রোগীর শরীরে বুলাতেন এবং বলতেন-

আরবি: اَذْهَبِ الْبَأْسَ رَبَّ النَّاسِ – وَاشْفِ اَنْتَ الشَّافِي – لَا شِفَاءَ اِلَّا شِفَائُكَ شِفَاءً لَا يُغَادِرُ سَقْمًا

বাংলা উচ্চারন: “আজ-হাবিল বা’সা রব্বান না’সি, ওয়াশফি আনতাশ্ শা’ফি, লা শিফা’আ ইল্লা শিফা-উকা শিফা-আ’ লা ইউগাদিরু সুক্বমা।”

বাংলা অর্থ: “হে মানুষের প্রতিপালক, এ রোগ দূর কর এবং আরোগ্য দান কর; তুমিই আরোগ্য দানকারী। তোমার আরোগ্য ব্যতীত কোনো আরোগ্য নেই। এমন আরোগ্য, যা কোন রোগ বাকি রাখে না।” (বুখারি, মিশকাত)

উপরোক্ত পবিত্র কোরআনে রোগ মুক্তির দোয়া ও রাসূল (সাঃ)- এর শিখানো দোয়াগুলো আমাদের জীবনকে পরিপূর্ণ সুস্থতা দান করবে, ঈন-শা-আল্লাহ।

শেষকথা

সুস্থ জীবনযাপন আমরা সকলেই চাই। তবে সুস্থ থাকতে চাই আল্লাহ তায়ালার রহমত। তাই যেকোন রোগে আক্রান্ত হলে কিংবা রোগ থেকে সর্বদা মুক্ত থাকতে আল্লাহর কাছে দোয়া করতে হবে। উপরোক্ত কুরআনে রোগ মুক্তির দোয়া গুলো নিয়মিত পাঠ করতে হবে।