রমনা পার্ক বাংলাদেশের ব্যস্ততম শহর ঢাকার বুকে প্রকৃতির মায়ায় নিবিড় শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য সেরা স্থান। ঢাকায় বসবাসকারী সকলেই একবার হলেও ঘুরে আসতে চায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ভরপুর এই রমনার পার্ক। আমাদের আজকের এই আলোচনার মাধ্যমে ঘুরে আসি রমনা পার্কে।
বিষয় | রামনা পার্ক ঢাকা |
বিভাগ | ঢাকা |
আয়তন | পার্কের আয়তন ৬৮ দশমিক ৫ একর। এর ভেতরে একটি লেক আছে যার আয়তন ৮ দশমিক ৭৬ একর। |
বর্ষবরণ অনুষ্ঠান | প্রতি বছর বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখ ভোরে রমনা বটমূলে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাদে অদ্যাবধি এই উৎসব হয়ে আসছে। |
রমনা পার্ক
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরের প্রাণকেন্দ্র হলো রমনা এলাকায় অবস্থিত সুনিবির ছায়া ঘেরা পরিবেশের একটি মনোরম উদ্যান। রমনা পার্ক (Romna Park) ১৬১০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। পুরনো হাইকোর্ট ভবন থেকে বর্তমান সড়ক পর্যন্ত বিস্তৃত রমনা পার্কটি। রমনা পার্কের বর্তমান আয়তন ৬৮.৫০ একর। প্রতি বছর পহেলা বৈশাখে ছায়ানটের উদ্যোগে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান উদযাপিত হয়। মোগল আমল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত বিভিন্ন ঘটনার সাক্ষী সবুজে ঢাকা রমনা পার্কের প্রায় ২১১ প্রজাতির উদ্ভিদ রয়েছে। বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদের মধ্যে রয়েছে অসংখ্য লতাগুল্ম, পাদাউক, কেয়া, কৃষ্ণচূড়া সহ বিভিন্ন দুর্লভ প্রজাতির মৌসুমি ফুলের সমাহার । রমনা পার্কের মধ্যে একটি লেক রয়েছে । লেকের দৈর্ঘ্য ৮১২ মিটার এবং প্রস্থ ৯ থেকে ৯৪ মিটার। লেকের আয়তন ৮.৭৬ একর।
রমনা পার্কে দেখার মত কি আছে
রমনা পার্কে দেখার মত অনেক কিছুই রয়েছে। বিভিন্ন প্রজাতির অসংখ্য গাছপালা ও রয়েছে । বর্তমানে ২১১ টি প্রজাতির গাছ রয়েছে রমনা পার্কে। অনেক অভিভাবকই তার সন্তানদেরকে বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় গাছের সাথে পরিচয় করানোর জন্য নিয়ে আসেন পার্কটিতে। বর্তমানে অধিকাংশ শিক্ষার্থীরাই দেশীয় উদ্ভিদগুলোকে চিনতে পারেনা, সে জন্য অভিভাবকরা এই মনোরম পরিবেশের রমনা পার্কে নিয়ে আসেন ।
এই পার্কে অসংখ্য গাছ থাকার কারণে বিভিন্ন প্রজাতির অসংখ্য পাখির বসবাস এখানে। শীতকালে অন্য দেশগুলো থেকেও এখানে বিভিন্ন প্রজাতির অসংখ্য পাখি আসে। হাজার হাজার মানুষ যায় সেখানে পাখিগুলো দেখতে ও পাখির কিচিরমিচির শব্দ শুনতে। রমনা পার্কের আরেকটি আকর্ষণীয় স্থানটি হচ্ছে স্বচ্ছ পানিতে ঘেরাও করা বিশাল লেকটি।
শহরের বুকে সবুজে ঘেরাও উদ্যানের মধ্যে এত বড় সুন্দর একটি লেক প্রাকৃতিক পরিবেশকে আরো সুন্দর করে তোলে। এই লেকের আয়তন ৮.৭৬ একর। রমনা পার্কে সারা বছরই ফুল দেখা যায় কোন না কোন গাছে। রমনা পার্কের বিখ্যাত বটবৃক্ষ টি অবস্থিত হচ্ছে পার্কের ঠিক দক্ষিণ-পশ্চিম পাশে। বট বৃক্ষে প্রতিবছর বাংলা নববর্ষ উদযাপিত হয়। তখন পার্কের সবুজ চত্বর অসংখ্য মানুষের ভীরে মুখরিত হয়ে ওঠে।
রমনা পার্কের উদ্ভিদ প্রজাতি
বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদে পরিপূর্ণ সবুজে ঘেরা রমনা পার্কটি। রমনা পার্কে উদ্ভিদ প্রজাতির সংখ্যা ২১১ টি। এর মধ্যে ফল জাতীয় ৩৬ টি, ঔষধি প্রজাতির ৩৩ টি, কৃষি বনায়নের উদ্ভিদ প্রজাতি ৩টি, বনোজ উদ্ভিদ প্রজাতি ২টি, জলজ উদ্ভিদ প্রজাতি ২ টি, ফুল ও শোভা বর্ধক প্রজাতির ৮৭টি ও মসলা প্রজাতির উদ্ভিদ ৩টি। এইসব প্রজাতির উদ্ভিদ নিয়ে রমনা পার্কটি পরিপূর্ণ সবুজে ঘেরা হয়েছে।
রমনা পার্কে বিরল প্রজাতির গাছ
রমনা পার্কে কিছু সংখ্যক বিরল প্রজাতির গাছ আছে। এরমধ্যে কয়েকটি হলো -কনক চাঁপা, দুলি চাঁপা, চন্দন, পলাশ, মাকড়িশাল, লতা পারুল, বন আসরা, মহুয়া, ঝুমকো, কুর্চি, পালাম, স্থলপদ্ম, কাউ ফল , গোল্ডেন শাওয়ার, পাখি ফুল, উদয় পদ্ম,কেয়া, সহস্রবেলি, কফি, অশোক, আফ্রিকান টিউলিপ, মাধবী, কর্পূর,মালতি, ট্যাবেবুয়া, জহুরিচাঁপা, তমাল, ক্যাশিয়া জাভানিকা, পাদাউক, ধারমার, আগর, বাওবাব, কাউয়াতুতি (বনপারুল), জ্যাকারান্ডা ইত্যাদি বিরল প্রজাতির গাছের সমাহার রমনা পার্কে।
রমনা পার্কের শিশু প্রাঙ্গণ
সবুজ ঘাসে ও বিভিন্ন প্রজাতির গাছ পালায় ছেয়ে আছে রমনা পার্ক। শিশু প্রাঙ্গণও রয়েছে রমনা পার্কের ভিতরে। রমনা পার্কের ভিতরে শিশুদের জন্য ঢেঁকি কল, দোলনা সহ আরো অনেক রকমের খেলার উপকরণ আছে শিশুদের বিনোদনের জন্য। রমনা পার্কের খোলামেলা মনোরম পরিবেশে আসলে সবারই মন ভালো হয়ে যায়। এখানে সকালে বিকালে মানুষের অনেক ভির জমে। ব্যস্ত শহরের আনাচে-কানাচে ইট পাথরে ঘেরা বড় বড় উঁচু দালানের মাঝে স্বস্তির নিঃশ্বাসের জন্য মানুষ রমনা পার্কে ঘুরতে আসে আসে। শিশুরাও খোলামেলা পরিবেশে অনেক আনন্দ পায় খেলাধুলা করতে।
রমনা বটমূলে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান
বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখে প্রতিবছর ভোরে রমনা পার্কে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান হয়ে থাকে রমনার বটমূলে। বর্ষবরণ অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে সংস্কৃতি সংগঠন ‘ছায়ানট’। এই উদ্যোগটি শুরু করে ছায়ানট ১৯৬৭ সালে। তখন থেকে এখনো পর্যন্ত ছায়ানট প্রতিবছর এই বর্ষবরণ অনুষ্ঠানটি করে আসছে। শুধুমাত্র ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় ছাড়া অন্যান্য সময়ে সবসময়ই বর্ষবরণ অনুষ্ঠানটি করে আসছে ছায়ানট। পহেলা বৈশাখ বর্তমানে জাতীয় উৎসব এ পরিণত হয়েছে। পহেলা বৈশাখে ভোরে রমনা বটমূলে সর্বসাধারণ এসে বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নেয় মঙ্গল শোভাযাত্রার মাধ্যমে । রমনার বটমূল এই দিন উৎসবের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে।
দৃষ্টি নন্দনে বদলে যাচ্ছে রমনা পার্ক
সময়ের সাথে সাথে পৃথিবীর সব কিছুই বদলে যাচ্ছে এবং সেই সাথে বদলাচ্ছে রমনা পার্ক। পার্কটি নতুন সাজে রূপ বদলাচ্ছে। রমনা পার্কের উন্নয়নের জন্য প্রতিনিয়ত কাজ চলছে। শহরের মাঝে প্রাকৃতিক এই মনোরম পরিবেশ মানুষকে করে তোলে আরো সতেজ। সবকিছু পরিবর্তনের সাথে পার্কের পরিবর্তন করছেন উন্নয়ন কর্মীরা।
১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের পর মোঘলদের রমনা তিন ভাগ হয়ে যায়। শাহবাগ এলাকা থাকে নবাবদের মালিকানায়। উত্তর দিকে মিন্টো রোডে হয় সিভিল স্টেশন নামে সরকারি কর্মকর্তাদের আবাসিক এলাকা। মাঝখানে রেসকোর্স ও বর্তমানের রমনা উদ্যান মিলিয়ে হয় রমনা এলাকা। রমনা পার্কের সৌন্দর্য আরো বাড়ানোর জন্য সরকার উন্নয়নের কাজ করে যাচ্ছে।
রমনা পার্কে কিভাবে যাবেন
ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে রমনা পার্কে যাওয়া যায়। যেমন- গাবতলী, যাত্রাবাড়ী ও সদরঘাট এরকম যে কোন স্থান থেকেই টেক্সি, বাস ও সিএনজি করে এসে শিশু পার্ক অতিক্রম করে কিছুটা সামনে এগিয়ে গেলেই রমনা পার্কের প্রবেশ পথ দেখতে পাওয়া যাবে।
কোথায় থাকবেন
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অহরহ আবাসিক হোটেল রয়েছে। প্রায় প্রতিটি এলাকাতে আবাসিক হোটেল রয়েছে। এছাড়াও ঢাকার মধ্যে পাঁচ তারকা হোটেল থেকে শুরু করে সাধারণ মানের হোটেল রয়েছে। ৫ তারকা হোটেলের মধ্যে প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁ, রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন, হোটেল লা মেরিডিয়েন ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য হোটেল রয়েছে। এছাড়া ফকিরাপুল, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ,গুলিস্তান, পল্টন,পুরান ঢাকা এবং সারা শহর জুড়ে কম বেশি কম খরচে থাকার অসংখ্য আবাসিক হোটেল রয়েছে।
রমনা পার্কের ইতিহাস
মোঘল আমলে রমনার এই উদ্যানটি ১৬১০ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়। সেই সময় পার্কের পরিসীমা ছিল বিশাল এলাকা জুড়ে । রমনার নামকরণ ও করেন মোঘলরাই। পার্ক এলাকাটি জঙ্গলে পরিপূর্ণ হয় পরবর্তীতে কম্পানি আমলে। ১৮২৫ সাল থেকে ব্রিটিশ কালেক্টর ডাউইজের সময় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় ঢাকা নগর উন্নয়নের জন্য, যার মধ্যে অন্যতম ছিল রমনা এলাকার উন্নয়ন।
ওই সময় রেসকোর্স এর ব্যবস্থা করা হয়েছিল রমনা এলাকার একটি অংশ ঘেরাও করে। আর অপর অংশটিকে রমনা গ্রীন নাম দিয়ে যাত্রা শুরু করে আজকের রমনা পার্ক। এ সময়ে ঢাকার নবাব পরিবার একটি রাজকীয় বাগান তৈরি করেন যার নাম দেয়া হয় ‘শাহবাগ’। পার্কের আয়তন তখন ছিল প্রায় ৮৯ একর। ১৯ শতকে ব্রিটিশ শাসক এবং ঢাকার নবাবদের সহায়তায় এটির উন্নয়ন সম্ভব হয়।
১৯০৮ সালে ঢাকা শহরের নিসর্গ পরিকল্পনার কাজ শুরু হয়েছিল, লন্ডনের কিউই গার্ডেনের অন্যতম কর্মী আ. এল প্রাউডলকের তত্ত্বাবধানে। নিসর্গ পরিকল্পনার ফল ছিল শহরের রমনা পার্কের উন্নয়ন। ২০ বছর লেগেছিল সেই কাজ শেষ হতে। ১৯২৮ সালে সেই কাজ সম্পন্ন হয়। এভাবেই বিভিন্ন মাধ্যমে বিভিন্ন পরিবর্তনের ফলে আজকের এই রমনা পার্ক।
বর্তমানে প্রতিবছর পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান হয় রমনা পার্কে। অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে রমনার বটমূলে ছায়ানটের বৈশাখের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন। রমনা পার্কটি ‘ঢাকার ফুসফুস’ হিসেবে ও পরিচিত। রাজধানীতে প্রাতভ্রমণের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র হল রমনা পার্ক। কয়েক হাজার মানুষ এখানে প্রতিদিন সকালে বিকালে হাঁটতেও ব্যায়াম করতে আসেন। এই উদ্যানে অনেক গাছ থাকার কারণে বিভিন্ন প্রজাতির অসংখ্য পাখির বসবাস কেন্দ্র।
রমনা পার্কের সময়সূচী ও প্রবেশ মূল্য
রমনা পার্ক প্রতিদিন সকাল ৬:০০ টা থেকে সন্ধ্যা ৭:০০ টা পর্যন্ত খোলা থাকে। সর্বসাধারণের জন্য রমনা পার্ক সকাল ৬:০০ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ঃ০০ টা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকে। রমনা পার্কে প্রবেশের জন্য কোন টিকেট লাগেনা। জনসাধারণের জন্য রমনা পার্ক প্রবেশ সম্পূর্ণ ফ্রি।
রমনা পার্কে অপরাধ ও প্রশাসন
ঢাকা শহরের রাজধানীর ফুসফুস খেত এই রমনা পার্কটিতে দিন দিন অসামাজিক কার্যকলাপ বেড়ে যাচ্ছে। এই পার্কটিতে মাদক ব্যবসা, ক্যান পার্টির দৌরাত্ম্য ও অসামাজিক কার্যকলাপ প্রতিনিয়ত হচ্ছে। এই অসামাজিক কার্যকলাপের সাথে পার্কটির কর্মকর্তারা ও জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। পার্ক কর্তৃপক্ষ কঠোর পদক্ষেপ নিবেন বলে জানিয়েছেন। এবং গণপ্রতি মন্ত্রী ও বলেছেন, তারা সব ধরনের ব্যবস্থা নিবেন পার্কের পরিবেশ ঠিক রাখার জন্য।
ইট পাথরের শহর ঢাকায় বসবাসকারী মানুষের একটু স্বস্তির নিঃশ্বাসের জায়গা হল রমনা পার্ক। অনেক সময়ই এই পার্ক ঘিরে অসামাজিক কার্যক্রম ও বিভিন্ন অপরাধের তথ্য পাওয়া যায়। সারাবাংলা ডটনেট এ রমনা পার্কের এই ধরনের পরিস্থিতি নিয়ে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। ভুক্তভোগীদের বিভিন্ন কথা উঠে এসেছে। তারা বলেছেন যে, রমনা পার্কে দুপুরের দিকে একটু নির্জন এলাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে এবং অভিযোগ উঠেছে মাদক ব্যবসার।
পার্কের মধ্যে দুপুরের দিকে মানুষজন কম থাকায় এক শ্রেণীর লোকের উৎপাত বেড়ে যায়। এরা শার্টের পকেটে কম দামি চকলেট ও প্যান্টের পকেটে বিভিন্ন সফট ড্রিংকস এর বতল নিয়ে ঘুরতে থাকে। এদের ক্যান পার্টি বলা হয়। অনেক সময় লোকজন কম থাকে এমন জায়গায় কোন ছেলে মেয়ে বসে থাকলে সেখানে গিয়ে বোতল খুলে তাদের হাতে ধরিয়ে দেয়। তারপর তারা ৩/৪ শত টাকা আদায় করে এবং না দিলে তারা খারাপ আচরণ করা শুরু করে এই চক্রের সদস্যরা।
ভুক্তভোগীরা বলেছেন তারা এ ধরনের ঘটনাগুলো ঘটাচ্ছেন আনসার সদস্য ও নিরাপত্তা কর্মীদের ম্যানেজ করে। রমনা পার্কের দায়িত্ব রত আনসার কমান্ডার বলেছেন তাদের আনসার সদস্য বাড়ানো প্রয়োজন। এত বড় পার্কে মাত্র ৩৫ জন আনসার সদস্য। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী বলেছেন, রমনা পার্কের সুস্থ পরিবেশ বজায় রাখার জন্য যা কিছু করার দরকার তা করবেন এবং সবার জন্য পার্ককে নিরাপদ রাখতে আরো ও কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে। পার্কের দায়িত্বরত যেসব কর্মকর্তারা এত সময় ধরে অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলা করে যাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: জাফলং ভ্রমণের আদ্যোপান্ত
FAQ’s
রমনা পার্ক বা রমনা উদ্যান কোথায় অবস্থিত?
রমনা পার্ক বা রমনা উদ্যান ঢাকা শহরের রমনা এলাকায় অবস্থিত একটি উদ্যান।
রমনা পার্ক কখন খুলা থাকে?
রমনা পার্ক প্রতিদিন সকাল ৬:০০ টা থেকে সন্ধ্যা ৭:০০ টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
রমনা পার্ক কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?
সুনিবির ছায়া ঘেরা পরিবেশের মনোরম উদ্যান রমনা পার্কটি ১৬১০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
রমনা নামের অর্থ কী?
রমনা নামটির অর্থ হলো— “উদার”