গ্রীষ্মকালীন নানান সুস্বাদু ফলের মধ্যে আম (Mango) অন্যতম একটি সুস্বাদু ফল। বাংলাদেশ আমের স্বাদকে তুলনা করতে গিয়ে এটিকে- ‘ফলের রাজা আম’ উপাধি দেওয়া হয়। আম খেতে ভালোবাসেনা এমন লোক পাওয়া মুশকিল। বলা যায় বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় ও চাহিদা সম্পন্ন ফল আম। পৃথিবীর সর্বোচ্চই রয়েছে আমার স্বাদের প্রতি মানুষের বিশেষ চাহিদা। হয়তোবা আপনারও প্রিয় ফল আম।
এই অত্যন্ত সুস্বাদু ফলের রাজা আমের রয়েছে এক বিস্তর ইতিহাস। তাছাড়া, আমের মৌসুম, বিভিন্ন আমের জাত, কোন আম মিষ্টি, কোন আম কখন পাকে, বিভিন্ন দামি আমের জাত কোনগুলো, বাংলাদেশের কোন জেলার আম ভালো, ভালো ও মিষ্টি আম চেনার উপায় কি, আমের পুষ্টিগুন ইবা কি, মানবদেহে আমের স্বাস্থ্য উপকারিতা কি কি, আম দিয়ে কি কি বানানো যায় ইত্যাদি বহু প্রশ্ন আমাদের মনে কৌতুহল সৃষ্টি করে। তাই গ্রীষ্মকালীন এই ফলের গ্রীষ্মমন্ডলীয় কৌতুহলের বিস্তারিত তথ্য থাকছে এই পোস্টে।
আমের ইতিহাস
আম ভারত উপমহাদেশীয় একটি ফল। আমের আদি নিবাস ছিল দক্ষিণ এশিয়া। আম প্রথম কোথায় পাওয়া যায় এ নিয়ে বিজ্ঞানীদের নানারকম মতভেদ থাকলেও এর আদি উৎপত্তিস্থল যে দক্ষিণ এশিয়ায় তা নিয়ে বিজ্ঞানীরা একমত। আমের ইতিহাস থেকে জানা যায়, খ্রিস্টপূর্ব ৩২৭ তে প্রথমবারের মতো আলেকজান্ডার একটি সিন্ধু উপত্যকায় আম দেখে এবং তা খেয়ে মুগ্ধ হয়। তারপরই আম ছড়িয়ে পড়ে মালয় উপদ্বীপ, ফিলিপাইন দ্বীপপুঞ্জ, মাদাগাস্কার, ইন্দোনেশিয়াতে।
পরবর্তীতে, চীন পর্যটক হিউয়েন সাং ৬৩২-৬৪৫ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে এ অঞ্চলে ভ্রমণে আসেন এবং বাংলাদেশের আমকে বিশ্ববাসীর কাছে পরিচিত করেন। ধারাবাহিকভাবে পৃথিবীর নানা স্থানে শুরু হয় আম চাষ। জানা যায়, ১৩৩১ খ্রিস্টাব্দ থেকে প্রথম আফ্রিকায় ফলের রাজা আম চাষ হয়। এরপর ১৬ শতাব্দীতে পারস্য উপসাগরে, ১৬৯০ সালে ইংল্যান্ডের কাচের ঘরে, ১৭ শতাব্দীতে ইয়েমেনে আম চাষ করা হয়। ঊনবিংশ শতাব্দীতে ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জে আম চাষ শুরু হয়। এভাবেই আম ফলটি বিশ্ববাসীর দোরগোড়ায় পৌঁছে যায়।
আমের প্রতি ভালোবাসা ও আসক্তি থেকে মোগল সম্রাট আকবর ভারতের শাহবাগের দাঁড়ভাঙায় প্রায় ১ লাখ আমের চারা রোপণ করে উপমহাদেশে সর্বপ্রথম একটি উন্নত জাতের আম বাগান সৃষ্টি করেছিলেন।
আমের মৌসুম
আম একটি গ্রীষ্মকালীন ফল। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে বারোমাসি আমের জীবনকাল ও মৌসুম ভিন্ন হতে পারে। এছাড়া অন্যান্য সব জাতের আমই গ্রীষ্ম মৌসুমে পাকে। শীতকালের মাঝামাঝি সময় থেকে শুরু হয় আমের জীবনকাল। মে থেকে সেপ্টেম্বর মোট ৫ মাস আম পাকার মৌসুম থাকে।
শীতকালীন সময়ে সময় আম গাছ গুলোতে পরাগমনের মাধ্যমে ডিম্বক উৎপন্ন হয়ে আমের বোল আসা শুরু করে। তারপর ধারাবাহিকভাবে, বোল থেকে আমের গুটি, এবং গুটি থেকে আম বড় হয়ে পরিপক্ক হতে থাকে। পরবর্তীতে বাংলা বৈশাখ মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে বিভিন্ন জাতের ফলের রাজা আম পাকা শুরু করে। বিভিন্ন আম পাকার সময়কাল ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। নিম্নে কিছু অতি পরিচিত আমের পাকার সময়কাল সম্পর্কে লেখা হলো-
ফলের রাজা আম কখন পাকে
বাংলাদেশের আম পাকার মৌসুমকে মূলত তিন ভাগে ভাগ করা হয়। যথা-
- আগাম জাত,
- মধ্য মৌসুমি জাত এবং
- নাবি জাত।
আগাম জাতের আম মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে শুরু করে জুনের মাঝামাঝি সময়ে পাকে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু আমের জাত হলো- রানীপছন্দ, হিমসাগর, বৃন্দাবনি, গুলাবখাশ, বারি-১ ও ক্ষীরশাপাত, গোপালভোগ, গোবিন্দভোগ।
মধ্য মৌসুমি আম জুন মাসর মাঝামাঝি সময় থেকে পাকতে শুরু করে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু আমের জাত হলো- লক্ষণভোগ, খুদিক্ষীরশা, ল্যাংড়া, সুর্যপুরী, হাঁড়িভাঙ্গা,, বারি-২, বোম্বাই ইত্যাদি।
নাবি জাতের আম জুলাই মাস থেকে সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত পাকে । এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু আমের জাত হলো- আম্রপালি, মোহনভোগ, ফজলি, গৌড়মতি, আশ্বিনা, বারি-৩, বারি-৪, ইত্যাদি।
বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জাতের আম পাকার ফলে দীর্ঘ সময় ধরে বাজারে আমরা আম পেয়ে থাকি এবং ফলের রাজা আম এর স্বাদ নিতে পারি।
বিশ্বের সেরা কিছু আমের জাত
বাংলাদেশ সহ সমগ্র পৃথিবীজুড়ে প্রায় ৩৫ প্রজাতির আম গাছ রয়েছে। এই প্রজাতি গুলোর মধ্যে কয়েক জাতের আম রয়েছে। বর্তমানে পৃথিবীতে সবচেয়ে পছন্দনীয় এবং সুস্বাদু আমার জাতগুলো হলো-
ফজলি, ল্যাংড়া, সূর্যডিম, হিমসাগর, তোতাপুরী, মিয়াজাকি, ব্ল্যাক স্টোন, মৌচাক, ডকমাই, গোপালভোগ, খিরসাপাত, অরুনা, আম্রপালি, মল্লিকা, সুবর্নরেখা, মিশ্রিদানা, নিলাম্বরী, কালীভোগ, কাঁচামিঠা, আলফানসো, বারোমাসি, তোতাপুরী, কারাবাউ, কেঊই সাউই, গোপাল খাস, কেন্ট, সূর্যপূরী, পাহুতান, ত্রিফলা, হাড়িভাঙ্গা, ছাতাপরা, গুঠলি, লখনা, আদাইরা, কলাবতী আম রূপালি, দিলসাদ, বেগম বাহার, রাজা ভুলানী, নাবি বোম্বাই, সিন্দি, ভূতো বোম্বাই, গোলেক, বারি আম ৭, কালী বোম্বাই, চকচকা, পেয়ারা ফুলী, ভ্যালেনাটো, সিন্দুরী ফজলী, আমব্রা, গুলাবজামুন, আলম শাহী, অস্ট্রেলিয়ান আম, মায়া, দাদাভোগ, শরবতি ব্রাউন, আলফান, রত্না, লাড্ডু সান্দিলা, ছোটীবোম্বাই, কালিজংগী, দ্বারিকা ফজলি, মিঠুয়া, বোম্বে সায়া ইত্যাদি জাত রয়েছে ফলের রাজা আম এর।
দামি আমের জাত কোনগুলো
পৃথিবীতে কয়েকশো প্রজাতির আমের জাত থাকলেও সবচেয়ে দামি কিছু আমের জাত হলো- মিয়াজাকি, সূর্যডিম, আলফানসো, ব্লাক স্টোন, ডকমাই, চিয়াংমাই, ব্রুনাই কিং, কাটিমন, গোলাপখাস, তোতাপুরি ইত্যাদি।
বাংলাদেশে চাষকৃত সূর্যডিম আমের দাম প্রতি কেজি ৮০০-১০০০ টাকা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই আমের দাম ৫-৬ হাজার টাকা পর্যন্ত। জাপানের মিয়াজাকি আম প্রতি কেজি ২ লক্ষ্য ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছিল। যা বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মূল্যের আমের খাতায় নাম করে নিয়েছে। এছাড়া অন্যান্য আমগুলোও সাধারণ আমের তুলনায় উচ্চ বাজারদরে বিক্রি হয়ে থাকে। এ সকল জাতের আমের গাছ সংগ্রহ করতেও গুনতে হয় বড় অংকের টাকা।
কোন আম বেশি মিষ্টি
আমের প্রায় ৩০০ এরও বেশি জাত রয়েছে। প্রতিটি জাতের আমেরই রয়েছে আলাদা আলাদা গুনাগুন। তবে ফলের রাজা আম হলেও, রাজাদের মধ্যে রয়েছে মহারাজ। এভাবেই, অল্প কয়েকটি জাতের আম সমগ্র দেশব্যাপী অত্যন্ত চাহিদা সম্পন্ন এবং স্বাদে, রঙে ও মানে অত্যন্ত ভালো হয়।
বাংলাদেশের বিভিন্ন আমের জাত গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মিষ্টি আমগুলো হলো- হিমসাগর বা ক্ষীরশাপাতি, আম্রপালি, ল্যাংড়া, রাজশাহীর গোপালভোগ আম ইত্যাদি। আম্রপালি আমের কদর বাঙ্গালীদের কাছে সবচেয়ে বেশি। এছাড়াও দেশীয় জাতগুলোর মধ্যে বাজারে অত্যন্ত চাহিদা সম্পন্ন আরেকটি আমের জাত হলো- ফজলি আম।
মিষ্টি আম চেনার উপায়
বর্তমানে ফলের বাজারে বিভিন্ন রকমের পাকা আম পাওয়া যায়। তবে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কার্বাইড, ফরমালিন ও অন্যান্য ঔষধ ব্যবহার করে আমের মাঝে পরিপক্কতা আনে। এক্ষেত্রে, ফলের রাজা আম এর সঠিক স্বাদ পাওয়া যায় না এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকিরও সম্ভাবনা থাকে। তাই বাজারে আম কিনতে গেলে কোন আম মিষ্টি এবং ভালো তা চেনার উপায় আমাদের সকলেরই জানা থাকা উচিত।
মিষ্টি আম চেনার অন্যতম ৩ টি উপায় হলো-
আমের গন্ধ শুঁকে- সাধারনভাবেই প্রতিটি জাতের আমের ভিন্ন ভিন্ন সুগন্ধ রয়েছে। আমটি হাতে নিয়ে বোটার এখানে শুকালে মিষ্টি গন্ধ পেলে তা বেছে নিন। ঝাঁঝালো ও তীব্র টক গন্ধ আসলে তা পরিহার করুন।
আম দেখতে কেমন- পরিষ্কার, দাগমুক্ত, চামড়া কুচকানো মুক্ত আম কিনুন। সবুজ, হলুদ, লাল, সোনালি, কমলা- যে রঙেরই হোক না কেন আমের বাহ্যিক গঠন দেখে ক্রয় করতে পারেন।
আমি নরম কিনা দেখে নিন- পরিপূর্ণ ও প্রাকৃতিকভাবে পাকা আম সম্পূর্ণ নরম অনুভূত হয়। এই আমগুলো স্বাদেও মিষ্টি হয়। তবে কার্বাইড দিয়ে পাকানো আম কিছু ক্ষেত্রে কোথাও নরম কোথাও শক্ত হতে পারে।
এছাড়াও ভালো আম পেতে চাইলে, সরাসরি বাগান থেকে আম ক্রয় করতে পারেন।
আমের পুষ্টিগুন
ফলের রাজা আম স্বাদের পাশাপাশি পুষ্টিগুণেও অনেকটাই এগিয়ে। আমের নানা পুষ্টি উপাদান গুলো হলো
- প্রচুর পরিমাণে খনিজ লবণ
- ভিটামিন উপাদান যেমন- ভিটামিন-এ ভিটামিন-সি, ভিটামিন-বি৬ রয়েছে।
- পটাসিয়াম, এমাইনো এ্যাসিড, কপার লৌহ রয়েছে।
- আমে বায়োলজিকাল উপাদান, আলফা ক্যারোটিন, পলি পিথানল কিউরেচিন কাম্ফারল, প্রো ভিটামিন এ বেটা ক্যারোটিন, লুশিয়েন জিলাইক এ্যাসিড, ক্যফিক এ্যাসিডসহ আরো বেশ কিছু পুষ্টি উপাদান রয়েছে।
মানবদেহে আমের স্বাস্থ্য উপকারিতা
মানবদেহের জন্য আমে থাকা পুষ্টি উপাদানগুলো অত্যন্ত উপকারি। আমের কয়েকটি স্বাস্থ্য উপকারিতা হলো-
- পাকা আম ত্বক সুন্দর, উজ্জ্বল ও মসৃণ করে এবং লোমের গোড়া পরিষ্কার রাখে।
- ফলের রাজা আম এ থাকা খনিজ লবণ শরীরের দাঁত, নখ, চুল,লোম মজবুত করে।
- আম ত্বকের ব্ল্যাকহেড পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন ১০০ গ্রাম পাকা আম খেলে মুখের কালো দাগ দূর হবে।
- পাকা আমে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন ও মিনারেলস স্বাস্থ্য উপকারী এবং এর আঁশগুলো হজমশক্তি বৃদ্ধি করে।
- আমি রয়েছে প্রায় ২৫ রকমের উপকারী ব্যাকটেরিয়া এবং ক্যারাটিনোইডস, যা দেহের ইমিউন সিস্টেমকে সবল রাখে।
- স্তন, লিউকেমিয়া, কোলন প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে।
- হার্টের সমস্যা প্রতিরোধে সহায়তা করে।
- নিয়মিত আম খাওয়া শরীরের রক্ত পরিষ্কার করে এবং রক্তস্বল্পতা দূর করে।
- কাঁচা আম মানবদেহে সান স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।
- মানবদেহে সোডিয়াম ক্লোরাইড, আয়রন,পটাশিয়াম এর ঘাটতি পূরণ করে কাঁচা আম।
তবে স্বাস্থ্য উপকারিতার পাশাপাশি ফলের রাজা আম এর কিছু ক্ষতিকর দিকও রয়েছে।
মানবদেহে আমের ক্ষতিকর প্রভাব
মানবদেহে আম স্বাস্থ্য উপকারী তবে অতিরিক্ত আম খেলে ডায়রিয়া, আমাশয় ও নানাবিধ পেটের পিড়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও যারা ডায়াবেটিস আক্রান্ত অথবা এ সংক্রান্ত স্বাস্থ্য যোগ রয়েছে তাদের জন্য পাকা আম ক্ষতিকর।
বেশ কয়েকটি কাঁচা আম খেলে তা বদহজম এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
আরও পড়ুন : ভ্রমণে সুস্থ থাকতে করনীয়
আম দিয়ে কি কি বানানো যায়
ফলের রাজা আম কাঁচা এবং পাকা উভয়ভাবেই কোন বাড়তি উপাদান ছাড়াই একটি সুস্বাদু ফল। তবে, এটি ব্যবহার করে তৈরি করা হচ্ছে আরো অনেক সুস্বাদু খাবার। যেমন-
- ম্যাংগো রাইস
- গ্রীন চিকেন
- আমের তৈরি কেক
- আমের কুলফি শরবত
- আম পান্না শরবত
- আমের বিভিন্ন রকম আচার
- কাঁচা আমের মোরব্বা
- আমের সালাদ
- পাকা আমের আমসত্ত্ব
- পাকা আমের জেলি
- পাকা আমের পুডিং
- আম-দইয়ের লরি আইসক্রিম
- পাকা আমের চাটনি
ইত্যাদি বিভিন্ন রকমের খাবার আইটেম ও রান্নায় কাঁচা এবং পাকা আমের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। ফলের রাজা আম দিয়ে তৈরি এই সকল খাবারের স্বাদও থাকে অত্যন্ত সুস্বাদু।
আরও পড়ুন: ইরানের রাজধানী- তেহরান
আম সম্পর্কে সচরাচর জিজ্ঞেসিত প্রশ্নোত্তর (FAQ’s)
বাংলাদেশের কোন জেলায় সবচেয়ে বেশি আম হয়?
দেশের সবচেয়ে বেশি আম উৎপাদন হয় রাজশাহী বিভাগের চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁ জেলায়।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় আমের বাজার কোনটি?
রাজশাহী বিভাগের চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাটের রাজবাড়ি টিকে বলা হয় কুঁজা রাজার বাড়ি। প্রায় শতাধিক বছর বয়সী একটি আমবাগান রয়েছে রাজার। এই বাগানকে ঘিরেই বসে বাংলাদেশের বৃহত্তম আম বাজার- কনসার্ট রাজার বাগান।
পৃথিবীতে আমের জাত কয়টি?
পৃথিবীতে প্রায় ৫০০-১০০০ জাতের আম রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৩৫০ জাতের আম সারা বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করা হয়।
ইতিকথা
ফলের রাজা আম যা আমাদের দেশে প্রচুর জনপ্রিয়, মানব দেহের জন্য ফুলমূল খুবই উপকারী। তাই সুস্থ্য থাকতে প্রচুর পরিমানে আম খান। এবং যেখানে সেখানে আম সহ বিভিন্ন ধরনের ফলের চারা লাগাই। যা থেকে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ফল খেতে পারবে।